করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির।
এসময় আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার অ্যান্টিবডি বেশিদিন থাকে না। এজন্য সরকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ৪ কোটি মানুষ ৪র্থ ডোজ নেওয়ার উপযোগী। তবে আপাতত আমরা ৫টি ক্যাটাগরিতে এই টিকা দেব। এক্ষেত্রে আমাদের মানুষ আছে ৮০ লাখ।
আহমেদুল কবির বলেন, এরইমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬০ জনকে চতুর্থ ডোজ দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে সারাদেশে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের প্রায়োরিটিতে সম্মুখসারীর যোদ্ধা, গর্ভবতী মায়েরা আছেন।
তিনি বলেন, আজ অনেকেই টিকা নিয়েছেন, ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে আমরা টিকার আওতায় আনতে চাই। বাংলাদেশ টিকায় মাইলফলক অর্জন করেছে, দেশের মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী। যে কারণে করোনায় হাসপাতালে ভর্তি কম, মৃত্যুও কম।
টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, এরইমধ্যে আমরা ১৫ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ, সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ এবং সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে তৃতীয় ডোজ দিয়েছি। এখনও আমাদের কাছে এক কোটি ৩৩ লাখ টিকা আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকার ব্যাপারে কনসার্ন আছেন।
তিনি বলেন, যেই টিকা আছে, এগুলো শেষ হলে আবারও টিকা আসবে। টিকা নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সাড়ে ১১ কোটি মানুষ আছেন। পর্যায়ক্রমে আমরা সবাইকে সেকেন্ড বুস্টার ডোজ (চতুর্থ ডোজ) দেব।
যেসব হাসপাতালে টিকা দেওয়া হচ্ছে
১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল
২. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
৩. সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
৪. সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল
৫. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
৬. মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও
৭. শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল।
আপনার মতামত লিখুন :