একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে তার সঙ্গে বিএনপির আমলের কোনো তফাত দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি শোষণ-নির্যাতন ছাড়া দেশকে কিছুই দেয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে অংশ নিয়ে এসব নকথা বলেন তিনি।
বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল ভুলে গেছে কিনা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পর্দার আড়ালে থেকেই আমার মা সবকিছু করতেন। আমার মা বাবাকে সবসময় একটাই কথা বলতেন, সংসার নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না, সেটা আমি দেখবো। তুমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করো। স্বামীর পাশে থেকে জীবন উৎসর্গ করা নারীকেও ঘাতকের দল ছাড়েনি। তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘যখন আমার মা দেখেছে বাবাকে গুলি করা হয়েছে তখন ঘাতকের কাছে নিজের জীবন ভিক্ষা চান নাই। তিনি বলেছিলেন, ওনাকে যেহেতু হত্যা করেছো, আমি এক পাও এখান থেকে লড়বো না। আমাকেও গুলি করো। তারা আমার মাকেও গুলি করে হত্যা করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট শুধু আমার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়নি। আমার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের মুক্তি সংগ্রামে বাবাকে তিনি সহযোগিতা করেছেন। তার কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা ছিল না। সকল চাহিদার ঊর্ধ্বে উঠে বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করে গেছেন। যখন বাবা জেলে থাকতেন তখন আমার মা’ই সংগঠন পরিচালনা করতেন। ’
যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই বইটিতে বঙ্গবন্ধু নারীর ক্ষমতায়ন তুলে ধরেছেন৷ বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে যুব মহিলা লীগের আন্দোলনের প্রশংসা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সে সময় যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির ‘অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার’ হয়েছেন বলেও জানান তিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘২৯ বছর মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।’
সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বিএনপির শাসনামলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাংবাদিকরা যেতে পারত না, সংবাদ প্রচার করতে পারত না বলেও জানান সরকার প্রধান।
এর আগে বেলা সোয়া ১২টার দিকে সম্মেলনস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। পর জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশিত হয়। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়িয়ে ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুর সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুর সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আপনার মতামত লিখুন :