রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে রমনা থানায় মামলা হয়েছে। অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা করেছে বলে রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু আনসার জানান। তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না আসায় পুলিশই বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছে। তাদের (নিহতদের পরিবার) পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- ভবনটির নিচতলার চা-কফির দোকান ‘চুমুক’র দুই মালিক আনোয়ারুল হক (২৭) ও শফিকুর রহমান রিমন (২০) এবং বিরিয়ানি রেস্তোরাঁ ‘কাচ্চি ভাই’র বেইলি রোড শাখার কর্মকর্তা জয়নুদ্দিন জিসান (৩০)।
এর আগে শুক্রবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা সংবাদ সম্মেলন করে জানান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে লাগা আগুনের সূত্রপাত নীচতলার ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকান থেকে। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া একটি ভিডিওকে তদন্তের বড় আলামত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনে নিচ তলায় আগুন লেগেছে, আর তা নেভানোর চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ অফিসার শাহজাহান শিকদার বলেন, একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। আগুনের সূত্র খুঁজতে গিয়ে এটি পাওয়া যায়। এটি স্থানীয় লোকজন আমাদের দিয়েছে। আমাদের করা ভিডিও না। এটি একটি সূত্র, তবে চূড়ান্ত নয়। তদন্তের সময় অনেকের সাথে কথা বলতে হবে, আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তারপরেই বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন ভর্তি আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :