জাকির পাটোয়ারী ঃ সাভার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চন্দ্রনারায়নপুর মৌজার জরিপের দায়িত্ব থাকা সার্ভেয়ার মোঃ জহিরুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের আদায়ের অভিযোগ। ঘুষ বানিজ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই ইউনিয়নের ভূমি মালিকরা। তাদের অভিযোগ, টাকা ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না। এর উপর চলে নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে ভূমি মালিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়।
জরিপের সময় জমি ও বাড়ী সঠিকভাবে রেকর্ড করিয়ে নিতে মালিককে দলিল-দস্তাবেজসহ উপস্থিত হতে হয় মৌজার দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ারের কাছে। সেখানেই কাজ করতে এলেই চলে ঘুষের মহোৎসব।
সাভার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চন্দ্রনারায়নপুর মৌজার ডিজিটাল ভূমি জরিপ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ভূমি মালিকদের কাছ থেকে চাওয়া হচ্ছে অর্থ, আর তা না পেলে জরিপ কর্মীরা জমি খাস অথবা প্রকৃত মালিক বাদ দিয়ে অন্যের নামে রেকর্ড দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, জহিরুল হকের বিশাল স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। আর এ সিন্ডিকেটের সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন জহিরুল হক নিজেই। ঘুষ লেনদেন করে থাকেন এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। সিন্ডিকেটের প্রদান ওদুদ মেম্বারের ভাতিজা টিটু, আরে সব লেনদেন করে থাকেন আলমনগর হাউজের ভিতরে। ঘুষের বড় একটি অংশ নিয়ে থাকেন মোঃ জহিরুল হক।
ভুক্তভোগী এক জমির মালিক বলেন, এখানে টাকা পয়সা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। যে দেশে ভূমি জরিপ আসে সেই দেশে মানুষ গরিব হয়ে যায়। যাদের টাকা আছে তাদের ঘরে গিয়ে রেকর্ড করে। যাদের টাকা নাই তাদেরকে মাসের পর মাস ঘুরতে হয়।
জানতে চাওয়া হয়, উপজেলা উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার উদয় চন্দ্র চাকমা, তিনি বলেন ঘুষ বানিজ্যের আদায়ের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি।এবং ভূমি মালিকদের কাছ থেকে টাকা চাইলে লিখিত অভিযোগ জানানোর জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে, সার্ভেয়ার মোঃ জহিরুল হক ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি অস্কীকার করেন।সিন্ডিকেটের প্রদান ওদুদ মেম্বারের ভাতিজা টিটুর বিষয়ে জানতে চাইলে, রাগ করে মুঠোফোনের লাইনটা কেটে দেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :