দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পলাতক থাকা পুরান ঢাকায় বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-২ জানায়, রোববার রাতে রাজধানীর মোহম্মদপুরের হুমায়ুন রোড এলাকা মীর মো. নূরে আলম লিমনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল রোববার রাতে মোহম্মদপুরের হুমায়ুন রোডে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। এসময় সাজাপ্রাপ্ত পালাতক আসামি লিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়াও তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত লিমনকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও পরে হাইকোর্ট সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। সাজার রায় মাথায় নিয়ে গত ১০ বছর ধরে পলাতক জীবন কাটাচ্ছিলেন লিমন।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধের মধ্যে সূত্রাপুরের বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বিশ্বজিৎকে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় রায় আসে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। ২১ আসামির মধ্যে গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া লিমনসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
মামলাটি হাইকোর্টে গেলে ২০১৭ সালের ৬ অগাস্ট আটজনের মধ্যে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে উচ্চ আদালত। বাকি ছয়জনের মধ্যে চারজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়; দুইজন খালাস পান।
উচ্চ আদালত যে চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন হলেন লিমন। হাইকোর্টে রায় ঘোষণার সময়ও লিমন পলাতক ছিলেন।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির দু’জন হাইকোর্টে খালাস পান, বকি ১১ জনের যাবজ্জীবন বহাল থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :