বাড্ডা ভূমি অফিসে তহসিলদার আসাদুজ্জামানের অনিয়মই নিয়ম !


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৩১, ২০২৩, ৮:২৬ অপরাহ্ন / ৪৭৭
বাড্ডা ভূমি অফিসে তহসিলদার আসাদুজ্জামানের অনিয়মই নিয়ম !

রাজধানীর বাড্ডা ভূমি অফিসের তহসিলদার এবং বাংলাদেশ ভূমি কর্মকর্তা কল্যান সমিতির কেন্দ্রীয়
কমিটির মহাসচিব আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি,অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এসব অভিযোগের প্রতিবাদ করায় ওই কর্মকর্তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগিরা। সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ব্যাক্তির সংখা অনেক। অভিযোগে জানা যায়,বাড্ডা ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই আসাদুজ্জামান সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরেছেন। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না । ওই অফিসে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। সেখানে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা এমন মাত্রায় পৌছেছে যে, অনেক ক্ষেত্রে ঘুষ দেওয়ার পরও কাজ হয় না। সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করতে তাদের নথিপত্র পর্যন্ত গায়েব করে দেওয়া হচ্ছে। জাল দলিলে জমির নামজারি হয়ে যাচ্ছে অন্যের নামে। নামজারি, খারিজ, খাজনা প্রদানসহ অন্যান্য কাজে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্যে ঘুষ, দুর্নীতির মহোৎসব চলছে বাড্ডা ভূমি অফিসে। এই অফিসে তহসিলদার আসাদের অনিয়মই নিয়ম ।

সরকার কর্তৃক ভূমির খারিজের ফি ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও খাজনা দাখিলার জন্য (ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ) সরকার নির্ধারিত ফির চেয়েও অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয় কিন্তু রসিদ দেওয়া হয় সরকারি হিসাবেই । এভাবে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই কর্মকর্তা। দৌরাত্ম্য বেড়েছে দালাল সিন্ডিকেটেরও। ১২ জন দালালের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে টাকা নেওয়া হয় । তহসিলদার আসাদ তার লালিত ওমেদার জুয়েল,মোক্তার,
নবী ,ফারুক ,রফিক ,কামাল,মর্তুজা,ইসাহাক দেলোয়ারদের নির্ধারিত একটি রেট দিয়েছেন এর বাইরে নামজারি করার সুযোগ নেই । এছাড়া বাড্ডা মৌজার অধিগ্রহন অবমুক্ত হওয়া এলএ কেইস জমির নামজারীর আবেদন হলে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে থাকে এই ওমেদার দালাল সিন্ডিকেট । আর অধিগ্রহনের বাহিরের জমির জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা গুনতে হয় নইলে জমির কাগজ পত্র সঠিক থাকলেও মেলে না সেবাপ্রার্থীদের নামজারী/ মিউটিশন। কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে তিনি পাঁচগুণ টাকাও আদায় করছেন। সামান্য ভুল থাকলেও জমির মালিকদের কাছ থেকে নিজে এবং দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয় । পরিস্থিতির শীকারে আসাদের আইন মানতে বাধ্য হয় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে । গেল কয়েক দিন আগে বাড্ডার দুই সহদর রফিকুল ইসলাম খোকা ও খাইরুল ইসলাম পৈত্রিক সুত্রে এস এ রেকর্ডে নামজারী মুলে আরএস ও সিটি জরিপে জমির মালিক হয়ে নামজারীর আবেদন করলে আসাদের লালিত ওমেদার মোক্তার জুয়েল সেবাপ্রার্থীর কাছে মুঠো ফোনে একলক্ষ টাকা নামজারী ফি দাবী করেন তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে না পারায় সরকার র্কতৃক অবমোক্তের সকল কাগজ থাকা সত্তেও আবেদনটি বাতিল করে দেন তহসিলদার আসাদ। অথচ আসাদের বেধে দেওয়া টাকা দিলেই তাদের লাইনে নামজারী হয় যেত অনায়াসে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ভুমি মালিকেরা বলেন, তার দাবিকৃত ঘুষের অর্থ দিতে অস্বীকার করলে নানা টালবাহানা করে জমির মালিকদের হয়রানি করেন তিনি। আরেক ওমেদার জানায় বাড্ডা ভুমি অফিসে তহসিলদারের টার্গেট মোতাবেক মাসে নামজরীর কাজ এনে না দিলে এখানে কাজ করা যায় না ।

সরেজমিনে দেখা যায় , ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, এখন সব কিছু অনলাইন ভিত্তিক হলেও জমির পর্চা (খসড়া) তোলা সহ সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিকভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে । চুক্তির টাকা ছাড়া কোনো ফাইলই নড়ে না এখানে। তার দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভূমি মালিকেরা। তহসিলদার আসাদুজ্জামান দিনের পর দিন দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ জনগণ ও নিরীহ মানুষের নিকট হতে। ঘুষখোর এই ভূমি কর্মকর্তা তাঁর ইচ্ছামত দুর্নীতি করে চলেছেন। এই ভূমি কর্মকর্তার দুর্নীতি রোধে দুদুকের সু—হস্তক্ষেপ জরুরি। এব্যাপারে ঢাকার অতিঃজেলা প্রশাসক শিবলী সাদিক জানায়, আমরা এখনো কোন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পায়নি যদি কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় তবে আমরা তা তদন্ত করবো এবং প্রমানিত হলে যথাযত ভাবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো । অভিযোগের বিষয়ে,তহসিলদার আসাদুজ্জামান বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা । ভূমি অফিস দালাল,ঘুষ,দূর্নীতি মুক্ত রাখতে আমি অঙ্গিকার বদ্ধ ।

নামাজের সময় সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ৬:৪৯ অপরাহ্ণ
  • ৮:১১ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ