বিআরটিএ পরীক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা অসীম পালের দালাল চক্র ও সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৭, ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন / ৪৮৯
বিআরটিএ পরীক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা অসীম পালের দালাল চক্র ও সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।

দ্রুত, গুণগত ও নির্বিঘ্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ইং তারিখে জনাব মোঃ নূর মোহাম্মদ মজুমদার, চেয়ারম্যান বিআরটিএ, পূর্বাচলের ঢাকা মেট্রো-৪ সার্কেল উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে পূর্বাচল বিআরটিএ অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য অতিষ্ঠ যানবাহন মালিক ও চালকরা। দালালকে টাকা না দিলে কাজ হয় না। প্রতারণা আর বিভিন্ন রকম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ গ্রাহকদেরকে।
পূর্বাচলের ঢাকা মেট্রো-৪ সার্কেলের সহকারী পরিচালক, মোটরযান পরিদর্শক ও মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট নেতৃত্বে ১০ জনের বেশি সদস্যের একটি দালাল চক্র ও সিন্ডিকেট করেন। আর এই অলিখিত দালালচক্র কাজ হলো প্রতিদিন বাহিরের দালালদের থেকে বিভিন্ন মধ্যমে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকার অবৈধ ভাবে নিয়ে থাকেন।

ঢাকা মেট্রো-৪ সার্কেল পরীক্ষা বোর্ডের মোটরযান পরিদর্শক অসীম পাল নিজেই দালালদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। এই কর্মকর্তা কাউকে তোয়াক্কা না করে। তার ছত্রচ্ছায়ায় রেখেছেন এই দালাল চক্র। একপ্রকার বলা যায় পরীক্ষা বোর্ড ও পরীক্ষার্থীরা জিম্মি এই চক্রের কাছে।
টাকা দিলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিলেই পাস লিখিত, মৌখিক, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা না দিয়ে পাস পেতে কোন অসুবিধা হয় না। এক প্রকার বলা যায় আনসিন পাস। শুধু তাই নয়, এর ক্ষেত্রে রেট একটু বেশি মাত্র ৩/৪ হাজার টাকা। প্রতিদিনই এভাবে শত শত পাশ করে নিয়ে যাচ্ছেন গোপনে অসীম পাল।

সরেজমিনে দেখা যায়, দালাল চক্র ও সিন্ডিকেটের লোকেরা অফিসের চেয়ার টেবিল ব্যবহার করে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্সের লার্নার সহ বিভিন্ন কাজ করেন। প্রকাশ্যে টাকা-পয়সা লেনদেন করেন। তাদের সাথে কথা বলে কারো অনুমান করার সাধ্য নেই যে, তিনি ওই অফিসের স্টাফ নন। এইদের মতো আরো রয়েছেন প্রায় দুই ডজন বাহিরের দালাল।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ পরীক্ষার্থী ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা দিতে আসেন। প্রতিটি পরীক্ষার্থী থেকে দালালরা ২৫০০ টাকা করে নেন।
দালালদের রোল নাম্বার আগেই পরীক্ষার বোর্ডের পরিদর্শক অসীম পাল কে দেওয়া হয়। টাকা-পয়সা লেনদেন হলে অনেকে পরীক্ষার হলে না লিখে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাস করে থাকেন। এবং প্রতিটি পাশের জন্য পরীক্ষার বোর্ডের মোটরযান পরিদর্শক অসীম পাল কে ২০০০ টাকা করে দিতে হয়। প্রতিটি পরীক্ষার বোর্ডে ঘুষ লেনদেন হয় ৪/৫ লক্ষ টাকা।

আর এই টাকা প্রতিদিন রাত্রে বন্টন করে দেওয়া হয় প্রতিটি টেবিলে। এর বড় অংকের একটি টাকা প্রতি সপ্তায় চেয়ারম্যানের দপ্তর ও বিভাগীয় পরিচালক, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জানতে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে একাধিক বার মোবাইল ফোনে কলদিও ফোন পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঢাকা মেট্রো-৪ সার্কেলের বিআরটিএ কয়েকজন অসাধু কর্মচারীর দালালের সঙ্গে যোগসাজশ থাকার কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছেন লাইসেন্স প্রত্যাশীদের। এছাড়া দালাল ছাড়া লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা করাটাও যেন এক ধরনের পাপ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মোটরযান অধ্যাদেশে নামে মাত্র মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেও ধোয়াছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় দালাল চক্র ও সিন্ডিকেট। সব মিলে ঢাকা মেট্রো-৪ সার্কেল বিআরটিএর দালাল চক্রের দাপটে যানবাহনের চালক ও সেবা গ্রহিতারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

নামাজের সময় সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ৬:৪৯ অপরাহ্ণ
  • ৮:১১ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ