তরমুজ পিস হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে কাওরান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ‘বিক্রেতারা তরমুজ যেভাবে কিনবেন, সেভাবেই বিক্রি করতে হবে। কেউ পিস হিসেবে কিনলে তা কেজি দরে বিক্রির সুযোগ নেই। যিনি কেজি হিসেবে কিনবেন, তিনি কেজি হিসেবে বিক্রি করবেন। তবে এর সপক্ষে পাকা ভাউচার থাকতে হবে। তা না হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ কেজি হিসেবে বিক্রি করেন, তাহলে ভোক্তারা যেন সেটা প্রত্যাহার করেন এবং ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানান। ভোক্তা অধিদপ্তর সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
জানা গেছে, সম্প্রতি ব্যবসায়ীরা তরমুজ কিনে আনছেন পিস হিসেব করে। ঢাকায় এনে সেগুলো কেজি হিসেবে চড়া দামে বিক্রি করছেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে সম্প্রতি কারওয়ানবাজারে দেখা যায়, ১১ কেজি ওজনের একটা তরমুজ কেনা হয়েছে ২৮০-৩০০ টাকায়। ওই তরমুজ ৭০ টাকা কেজি হিসেবে ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এই অতি মুনাফা বন্ধে অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :