ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছিল ৫২টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লাইসেন্স পেতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগদ ডিজিটাল ব্যাংক, কোরি ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজি-টেন, ডিজিটঅল, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক এবং নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক খাতের সঙ্গে আগেই যুক্ত এমন প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স ফি ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা। আর ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স ফি দিতে হবে ৩০০ কোটি টাকা।
জানা যায়, ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রধান একটি কার্যালয় থাকবে। তবে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন। এর নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম অথবা সিআরএমও থাকবে না। সব সেবাই হবে অ্যাপ-নির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে।
নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মূলধন ১২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে, প্রথাগত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম মূলধন লাগে ৫০০ কোটি টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :