শাহ্ আলমঃ চির নিদ্রায় শায়িত হলেন দক্ষিন বঙ্গের কৃতি সন্তান, মাদারিপুর ডাসারের উজ্জল নক্ষত্র বীরমুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই।
তুমি হাজার বছর বেঁচে থাকবে কোটি মানুষের হৃদমাজারে।
হে! সমাজসেবার মহানায়ক বিনম্র শ্রদ্ধা তোমার প্রতি।
আল্লাহ তোমাকে বেহেশত দান করুক। আমিন।
হে! শিক্ষানুরাগি যা করেছো তুমি দান
তার মধ্যেই তুমি রয়ে যাবে চির অম্লান!
মসজিদ, মন্দির,গড়িয়া তুমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
কাড়িয়া লইয়াছো সারা বাংলার কোটি মানুষের প্রান।
মৃত্যুর উপসর্গঃ
হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের,
স্থানঃ ঢাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল
ক্ষণঃ বুধবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাবেক মন্ত্রীর ভাগনে ও মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরে ডাসার গ্রামে ইসলামি বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন রাজনীতৈক ব্যাক্তি ও একজন সফল ব্যবসায়ী।
আবুল হোসেন আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আবুল হোসেন। ওই সময় তিনি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন।
সৈয়দ আবুল হোসেন মৃত্যুকালীন সময়ে, স্ত্রী খাজা নার্গিস, দুই মেয়ে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন এবং সৈয়দা ইফফাত হোসেন সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
হায়নার হামলার শিকারঃ
২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি সই করে সরকার, কিন্তু বছরের শেষ দিকেই তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি যোগাযোগমন্ত্রীর পদ থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন। সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকেও দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয়। ওই সময় তাদের গ্রেপ্তারের দাবিও ওঠে।
যদিও ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সেতুর ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দেয় দুদক, কিন্তু ৩০ জুন পদ্মা সেতুর ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক।
৯ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরবর্তী সময়ে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগে কানাডার আদালতে একটি মামলা হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কানাডার আদালত জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণ বাতিল করেছিল, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তোমার প্রস্থানে অপুরনিয় ক্ষতির ভার বইবে,
এ সাধ্য কার?
আপনার মতামত লিখুন :