মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এনে স্বপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করেন তারা।
তখন আদালত তাদেরকে এ বিষয়ে লিখিত আকারে আবেদন নিয়ে যেতে বলেন।
এর মধ্যে আইন ও সালিস কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীনুজ্জামান ও জামিউল হক ফয়সাল।
আর ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেনও বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছেন।
পরে শাহীনুজ্জামান জানান, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে স্বপ্রণোদিত আদেশ চেয়েছিলাম।
আদালত আবেদন করতে বলেছেন। আমরা এখন এই দুই সংগঠনের পক্ষে রিট প্রস্তুত করতেছি। প্রস্তুত হলে আবেদনটি দাখিল করবো।
এর আগে, এ ঘটনায় সোমবার (১৫ আগস্ট) দিনগত রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্ণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা (নং-৪২) দায়ের করেন।
মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন জানান, উত্তরার দুর্ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, সিজিজিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮), ফাহিমা, জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। তাদের মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
গাড়িতে থাকা হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে নবদম্পতি গুরুতর আহত হয়ে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আপনার মতামত লিখুন :