মোঃ মিটুল হোসেন মিঠু: উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় ট্রাফিক সার্জেন্টরা চাঁদাবাজির মহোৎসবে মেতে উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরা, দিয়াবাড়ী,খালপাড়, কামার পাড়া, ধউর,বেড়িবাঁধ, বিরুলিয়া,এই সমস্ত এলাকা দিয়ে যেইসব অবৈধ ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশা চলচল করে। এই সমস্ত তিন চাকার অবৈধ অটোরিকশা থেকে মাসে প্রায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
ভোরের বার্তা এর তথ্যে উঠে আসে এই সমস্ত চাঁদাবাজির টাকা তিন ভাগে বিভক্ত হয়। বড় অংকের এক ভাগ টাকা চলে যায় অসাধু ট্রাফিক সার্জেন্ট দের পকেটে। আর এক ভাগ টাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পকেটে যাই। এখান থেকে কিছু সংখ্যক টাকা থানা পুলিশের পকেটে যায় বলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অটোরিকশার চালক ভোরের বার্তা কে বলেন,আমরা সরাসরি পুলিশের হাতে টাকা দেয় না, আমরা লাইনম্যানের কাছে টাকা দেয়।
লাইনম্যানকে টাকা না দিলে পুলিশ আমাদের গাড়ি ডাম্পিং করে তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরকে চাঁদা দিতে হয়। একটি খাবার হোটেলের সামনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল রাখা মাত্রই বেরিয়ে আসে চাঞ্চলকর তথ্য।
হোটেলের সামনে মোটরসাইকেল রাখার কারণে হোটেল মালিক মোটরসাইকেল সরাও সরাও করে চেঁচামেচি করে। তখনো হোটেল মালিক বুঝতে পারে নাই এটা সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল।
হোটেল মালিকের কাছে জানতে চাওয়া হল এখানে মোটরসাইকেল রাখা যাবে না কেন,উত্তরে হোটেল মালিক বলে এখানে পুলিশকে টাকা দিয়ে ব্যবসা করি মোটরসাইকেল রাখার জন্য না।
হোটেল মালিক কে আবার প্রশ্ন করা হয় এখানে ইজিবাইক সিএনজি অটোরিকশা রাখা হয়েছে এতে আপনার কোন ক্ষতি হচ্ছে না, উত্তরে হোটেল মালিক বলে ওরাও পুলিশকে চাঁদা দিয়ে চলে।
আমরা বললাম চাঁদা না দিলে কি করে, উত্তরে বলে চাঁদা না দিলে পুলিশ গাড়ি ধরে নিয়ে যায় এক হাজার বারোশো টাকা দিলে আবার ছেড়ে দেয়।
কামারপাড়া ধউর এলাকায় একজন অটো রিক্সার ড্রাইভার ভোরের বার্তা কে জানান, মাসিক চাঁদা দেয়ার পরেও স্টানে আনসারদেরকে দিয়ে আমাদের গাড়ি ধরে ২০০/৩০০/ টাকা নিয়ে আবার ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তথ্যে উঠে আসে কিছু অসাধু পুলিশ সার্জেন্টের নাম। পুলিশ সার্জেন্ট এর নাম সহ ধারাবাহিক প্রতিবেদন আসিতেছে আগামী নিউজে।
আপনার মতামত লিখুন :