বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ ও স্বত:স্ফুর্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জনমনে নানা আতঙ্কের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন ক্রমাগত হুমকির মাধ্যমে। পাশাপাশি গত কয়েকদিন ধরেই চলছে নির্বিচারে গ্রেপ্তার। এসব করে কোনো লাভ হবে না।’
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তারের কারণে নেতাকর্মীরা বাড়িঘর পরিবার পরিজন ছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নেতাকর্মীদের যেখানে পাচ্ছে সেখানেই আটক করছে পুলিশ। পাশাপাশি বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলনকে দমন করতেই সরকার গ্রেপ্তার ও সাজা দেওয়ার পথ অবলম্বন করেছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কারাগারে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নের মধ্যে রাখা হচ্ছে। দিন-রাত তাদের লকআপে রাখা হয়। ডাকাতি ও খুনের ভয়ঙ্কর অপরাধীরা কারাভ্যন্তরে যে অধিকারটুকু ভোগ করে সেটুকুও বিএনপি নেতাকর্মীদের নেই। কেরানীগঞ্জ কারাগারে শাপলা বিল্ডিংয়ে বেশির ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীদের দিন-রাত আটকিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেয়া হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের পরিসংখ্যন তুলে ধরে বলেন, ‘গত সোমবার রাতে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) হারুনুর রশিদ হারুন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী ও মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রনি আকতারকে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া গত ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী আহত হয়েছেন ১৯৯৫ জন, মামলা হয়েছে ৩৯৮ টি, গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৪৮০ জন, আসামি করা হয়েছে ২৬,৫৬০ জনকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :