পবিত্র হজ উপলক্ষে মানি চেঞ্জারগুলোর ডলার বিক্রির সীমা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল এই সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে, মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিদেশে গমনকারী বাংলাদেশি নাগিরকদের কাছে দুই হাজার ডলার নগদ বিক্রি করতে পারবে। আগে এই সীমা ছিল এক হাজার ডলার। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিদেশে যেতে পাসপোর্টে ডলার ব্যবহারের অনুমতি (এন্ডোর্সমেন্ট) নিতে হয়। একজন বাংলাদেশি নাগরিক বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার দেশের বাইরে খরচ করতে পারেন। সেটা নগদ ডলার ও কার্ড উভয় মিলেই। এই অনুমোদন দেয় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বিদেশ গমনকালে এক বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার বা সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা এন্ডোর্স করতে পারেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) যৌথ সভা শেষে এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আরএফ হুসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এ বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ডলারের বিনিময় হারের ব্যবধান কমানো এবং একক হারে পৌঁছানো।’ তবে, ডলারের অন্যান্য হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রবাসীরা তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে সরকারের ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা ছাড়াও প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১০৮.৫ টাকা পাবেন। আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের হার ১১৯.০৭ টাকা। পারটেক্স স্টার গ্রুপের মালিকানাধীন ড্যানিশ ফুডস লিমিটেডের হেড অব বিজনেস (এক্সপোর্ট) দেবাশীষ সিংহ বলেন, ‘রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম বাড়ায় খুব একটা লাভ হবে না। কারণ কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
খবর সংগ্রহ
আপনার মতামত লিখুন :