০৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ জরুরি

    • Reporter Name
    • Update Time : ০২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
    • ৭৯ Time View

    ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান দেশের স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নিয়ন্ত্রণকে ‘অত্যন্ত জরুরি’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি মনে করেন, শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য এলপিজির দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত।

    শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক ‘বণিক বার্তা’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ:

    উপদেষ্টা ফওজুল কাবির খান বলেন, বর্তমানে এলপিজি সিলিন্ডারের বাজার মূল্য ১২০০ টাকার বেশি, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ১৪০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি এই উচ্চমূল্যকে শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের জন্য অসুবিধাজনক বলে উল্লেখ করেন এবং দাম কমিয়ে ১ হাজার টাকার মধ্যে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান, এলপিজির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দাম, লজিস্টিক উন্নয়ন এবং প্রাইভেট সেক্টরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি।

    জ্বালানি সংকট নিয়ে মন্তব্য:

    দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি কোনো স্বাভাবিক সংকট নয়, বরং ক্ষমতাসীন কিছু রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ‘পরিকল্পিত অবস্থার ফল’। তাঁর মতে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্যাস লাইনের পরিকল্পনায় গ্যাস সরবরাহের চাহিদাকে উপেক্ষা করার ফলে শিল্প ও গৃহস্থালিতে বিপুলসংখ্যক অবৈধ সংযোগ তৈরি হয়েছে।

    গ্যাস উৎপাদন ও আমদানি:

    উপদেষ্টা জানান, স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট কমছে, কিন্তু নতুন গ্যাস সংগ্রহ হচ্ছে মাত্র মাত্র ৭০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। ঘাটতি মেটাতে উচ্চমূল্যের এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করা হচ্ছে, যা সমালোচিত।

    স্বল্পমেয়াদি বিকল্প হিসেবে এলপিজি:

    ফওজুল কাবির খান বলেন, এলএনজি আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই স্বল্পমেয়াদে গ্যাসের ঘাটতি মোকাবিলায় এলপিজি একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে। এই কারণেও এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

    ×
    15 November 2025 21:05


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ জরুরি

    Update Time : ০২:১৮:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

    ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান দেশের স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নিয়ন্ত্রণকে ‘অত্যন্ত জরুরি’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি মনে করেন, শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য এলপিজির দাম ১ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত।

    শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক ‘বণিক বার্তা’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ:

    উপদেষ্টা ফওজুল কাবির খান বলেন, বর্তমানে এলপিজি সিলিন্ডারের বাজার মূল্য ১২০০ টাকার বেশি, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ১৪০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি এই উচ্চমূল্যকে শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের জন্য অসুবিধাজনক বলে উল্লেখ করেন এবং দাম কমিয়ে ১ হাজার টাকার মধ্যে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান, এলপিজির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দাম, লজিস্টিক উন্নয়ন এবং প্রাইভেট সেক্টরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি।

    জ্বালানি সংকট নিয়ে মন্তব্য:

    দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি কোনো স্বাভাবিক সংকট নয়, বরং ক্ষমতাসীন কিছু রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ‘পরিকল্পিত অবস্থার ফল’। তাঁর মতে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্যাস লাইনের পরিকল্পনায় গ্যাস সরবরাহের চাহিদাকে উপেক্ষা করার ফলে শিল্প ও গৃহস্থালিতে বিপুলসংখ্যক অবৈধ সংযোগ তৈরি হয়েছে।

    গ্যাস উৎপাদন ও আমদানি:

    উপদেষ্টা জানান, স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট কমছে, কিন্তু নতুন গ্যাস সংগ্রহ হচ্ছে মাত্র মাত্র ৭০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। ঘাটতি মেটাতে উচ্চমূল্যের এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করা হচ্ছে, যা সমালোচিত।

    স্বল্পমেয়াদি বিকল্প হিসেবে এলপিজি:

    ফওজুল কাবির খান বলেন, এলএনজি আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই স্বল্পমেয়াদে গ্যাসের ঘাটতি মোকাবিলায় এলপিজি একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে। এই কারণেও এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

    ×
    15 November 2025 21:05