০৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    আবারও সামনে বিআরটিএ’র তারিক বিতর্ক

    • Reporter Name
    • Update Time : ০৮:১০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
    • ১৭১ Time View

    নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক মো. তারিক হাসান এখন শুধু একজন সরকারি কর্মকর্তা নন, চলনে বলনে তিনি আর দশটা শিল্পপতির মতই। চাকরি শুরুর অল্প সময়েই বেসুমার সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গড়েছেন খামার, বাড়ি, গাড়িসহ বিপুল সম্পদ। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের ছত্রছায় ঘুষ-দুর্নীতি করে এই অঢেল সম্পদ গড়েছেন তিনি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে এক সময় বিআরটিএতে রাজত্ব করা এই তারিক আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও রয়েছেন দাপটে। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও অজানা কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিরব ভুমিকা পালন করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহে কর্মরত থাকার সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠে। ফিঙ্গারপ্রিন্টে সমস্যা সৃষ্টি, জাতীয় পরিচয়পত্রে জটিলতা দেখানো, পুরনো এমআরপি নবায়নের নামে টাকা হাতানো, এমনকি আওয়ামী লীগ পন্থি এক শ্রেণির দালাল চক্র দিয়ে পুরো বিআরটিএ নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি।

    যশোরে বদলি হওয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। প্রকাশ্যে চলে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি। এখানেও রয়েছে তার বিশাল দালাল সিন্ডিকেট। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্মার্ট কার্ড, ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেট, রুট পারমিট কিংবা শ্রেণি পরিবর্তন, প্রতিটি ধাপেই বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর কৌশলে এই টাকা নিচ্ছেন একটি দালাল চক্র। যে চক্রের সদস্যেদের প্রায়ই দেখা যায় তারিকের কক্ষে। অভিযোগ বলা হয়েছে, ঝিনাইদহে কর্মরত অবস্থায় লিটন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেয়ার পরও কাজ না করার অভিযোগে জনরোষের মুখে পড়ে সবার সামনে ক্ষমা চেয়ে অফিস ছাড়তে বাধ্য হন এই তারিক।

    তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর বাড়ির পাশে বিশাল পুকুর ও জমি কিনেছেন তিনি। এছাড়া, ড্রাগনের প্রজেক্ট তৈরি করেছেন কয়েক লাখ টাকা খরচায়। তার ব্যক্তিগত গাড়িটির মূল্য ২৫ লাখ টাকার ওপরে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই অভিযোগে।

    ×
    10 November 2025 19:19


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    আবারও সামনে বিআরটিএ’র তারিক বিতর্ক

    Update Time : ০৮:১০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

    নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক মো. তারিক হাসান এখন শুধু একজন সরকারি কর্মকর্তা নন, চলনে বলনে তিনি আর দশটা শিল্পপতির মতই। চাকরি শুরুর অল্প সময়েই বেসুমার সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গড়েছেন খামার, বাড়ি, গাড়িসহ বিপুল সম্পদ। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের ছত্রছায় ঘুষ-দুর্নীতি করে এই অঢেল সম্পদ গড়েছেন তিনি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে এক সময় বিআরটিএতে রাজত্ব করা এই তারিক আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও রয়েছেন দাপটে। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও অজানা কারণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিরব ভুমিকা পালন করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহে কর্মরত থাকার সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠে। ফিঙ্গারপ্রিন্টে সমস্যা সৃষ্টি, জাতীয় পরিচয়পত্রে জটিলতা দেখানো, পুরনো এমআরপি নবায়নের নামে টাকা হাতানো, এমনকি আওয়ামী লীগ পন্থি এক শ্রেণির দালাল চক্র দিয়ে পুরো বিআরটিএ নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি।

    যশোরে বদলি হওয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। প্রকাশ্যে চলে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি। এখানেও রয়েছে তার বিশাল দালাল সিন্ডিকেট। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্মার্ট কার্ড, ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেট, রুট পারমিট কিংবা শ্রেণি পরিবর্তন, প্রতিটি ধাপেই বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর কৌশলে এই টাকা নিচ্ছেন একটি দালাল চক্র। যে চক্রের সদস্যেদের প্রায়ই দেখা যায় তারিকের কক্ষে। অভিযোগ বলা হয়েছে, ঝিনাইদহে কর্মরত অবস্থায় লিটন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেয়ার পরও কাজ না করার অভিযোগে জনরোষের মুখে পড়ে সবার সামনে ক্ষমা চেয়ে অফিস ছাড়তে বাধ্য হন এই তারিক।

    তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর বাড়ির পাশে বিশাল পুকুর ও জমি কিনেছেন তিনি। এছাড়া, ড্রাগনের প্রজেক্ট তৈরি করেছেন কয়েক লাখ টাকা খরচায়। তার ব্যক্তিগত গাড়িটির মূল্য ২৫ লাখ টাকার ওপরে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই অভিযোগে।

    ×
    10 November 2025 19:19