০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    ‘কে কী ভাবলো, তাতে আমার কিছু যায় আসে না’: সমালোচনা নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান সাকিবের

    • Reporter Name
    • Update Time : ০৬:০০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
    • ৩৫ Time View

    স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আবারও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন—সমালোচনা বা জনমত নিয়ে তাঁর কোনো উদ্বেগ নেই। তাঁর ভাষায়, “কে কী ভাবলো, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমার কাছের মানুষরা আমার সম্পর্কে কী ভাবে।” গত এক বছরে সাকিবকে ঘিরে বিতর্ক কম হয়নি। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, নীরবতা, মামলার জট ও সামাজিক সমালোচনায় ধীরে ধীরে আড়ালে চলে যান এক সময়ের বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই ক্রিকেটার।

    রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও দেশে ফেরা:

    ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকেই সাকিব কার্যত যুক্তরাষ্ট্রেই স্থায়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে আন্দোলনের পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়, যার মধ্যে হত্যা মামলার অভিযোগও রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে আপাতত তাঁর দেশে ফেরার পথ বন্ধই রয়ে গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নীরব থাকার জন্য সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন সাকিব। পরে কানাডায় এক ভক্তের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ভক্তদের মধ্যে আরও ক্ষোভ বাড়ে। ক্রিকবাজকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে সাকিব এই প্রসঙ্গে বলেন, “সেটা এমন একটা সময় ছিল যখন পুরো বিষয়টা আমার বিপক্ষে চলে যায়। ভক্তরা ভিন্ন কিছু আশা করেছিল। আমি তখন অনেক দূরে ছিলাম, আর দেশের পরিস্থিতিও জানতাম না। তাদের প্রতিক্রিয়া আমি শ্রদ্ধা করি, তবে এজন্য আমার কোনো অনুশোচনা নেই। সময়ের সঙ্গে মানুষ বিষয়টা বুঝতে শুরু করেছে।”

    ‘শো-রুম আল হাসান’ ট্রোল:

    ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসে সাকিবকে ঘিরে নানা ট্রোলও হয়—বাণিজ্যিক অনুষ্ঠান, শো-রুম উদ্বোধন বা ব্যক্তিগত প্রচারণায় অংশ নেওয়া নিয়ে। মজার ছলে অনেকেই তাঁকে ডাকতে শুরু করেন “শো-রুম আল হাসান” নামে। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, “এসব আসলে মিডিয়ার বানানো গল্প। আমি যেসব কাজ করেছি, সেগুলো তখন নতুন ছিল। মানুষ অভ্যস্ত ছিল না, তাই হজম করতে পারেনি। এখন অন্য কেউ করলে ততটা সমালোচনা হয় না। আমি প্রথম ছিলাম—ভালো বা খারাপ—দুটোই আমার ভাগে এসেছে।”

    যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা:

    সাকিবের পরিবার আগেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছিলেন। দেশ ছাড়ার পর সাকিবও এখন পরিবারের সঙ্গেই সেখানে রয়েছেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও থেমে নেই তাঁর ক্রিকেট। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেটে খেলেছেন, যেখানে তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণ। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, “সত্যি বলতে দারুণ উপভোগ করেছি। অনেক স্থানীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা হয়েছে, যাদের ক্যারিয়ারের শুরু দেখেছিলাম। অনূর্ধ্ব–১৯ সময়ের কথা মনে পড়ে গেছে। ছোটবেলার মতো এমন পরিবেশে খেলতে পেরে অসাধারণ লেগেছে, যেন পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছি।”

    ×
    10 November 2025 19:36


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    ‘কে কী ভাবলো, তাতে আমার কিছু যায় আসে না’: সমালোচনা নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান সাকিবের

    Update Time : ০৬:০০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

    স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আবারও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন—সমালোচনা বা জনমত নিয়ে তাঁর কোনো উদ্বেগ নেই। তাঁর ভাষায়, “কে কী ভাবলো, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমার কাছের মানুষরা আমার সম্পর্কে কী ভাবে।” গত এক বছরে সাকিবকে ঘিরে বিতর্ক কম হয়নি। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, নীরবতা, মামলার জট ও সামাজিক সমালোচনায় ধীরে ধীরে আড়ালে চলে যান এক সময়ের বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই ক্রিকেটার।

    রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও দেশে ফেরা:

    ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকেই সাকিব কার্যত যুক্তরাষ্ট্রেই স্থায়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে আন্দোলনের পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়, যার মধ্যে হত্যা মামলার অভিযোগও রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে আপাতত তাঁর দেশে ফেরার পথ বন্ধই রয়ে গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নীরব থাকার জন্য সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন সাকিব। পরে কানাডায় এক ভক্তের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ভক্তদের মধ্যে আরও ক্ষোভ বাড়ে। ক্রিকবাজকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে সাকিব এই প্রসঙ্গে বলেন, “সেটা এমন একটা সময় ছিল যখন পুরো বিষয়টা আমার বিপক্ষে চলে যায়। ভক্তরা ভিন্ন কিছু আশা করেছিল। আমি তখন অনেক দূরে ছিলাম, আর দেশের পরিস্থিতিও জানতাম না। তাদের প্রতিক্রিয়া আমি শ্রদ্ধা করি, তবে এজন্য আমার কোনো অনুশোচনা নেই। সময়ের সঙ্গে মানুষ বিষয়টা বুঝতে শুরু করেছে।”

    ‘শো-রুম আল হাসান’ ট্রোল:

    ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসে সাকিবকে ঘিরে নানা ট্রোলও হয়—বাণিজ্যিক অনুষ্ঠান, শো-রুম উদ্বোধন বা ব্যক্তিগত প্রচারণায় অংশ নেওয়া নিয়ে। মজার ছলে অনেকেই তাঁকে ডাকতে শুরু করেন “শো-রুম আল হাসান” নামে। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, “এসব আসলে মিডিয়ার বানানো গল্প। আমি যেসব কাজ করেছি, সেগুলো তখন নতুন ছিল। মানুষ অভ্যস্ত ছিল না, তাই হজম করতে পারেনি। এখন অন্য কেউ করলে ততটা সমালোচনা হয় না। আমি প্রথম ছিলাম—ভালো বা খারাপ—দুটোই আমার ভাগে এসেছে।”

    যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা:

    সাকিবের পরিবার আগেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছিলেন। দেশ ছাড়ার পর সাকিবও এখন পরিবারের সঙ্গেই সেখানে রয়েছেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও থেমে নেই তাঁর ক্রিকেট। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেটে খেলেছেন, যেখানে তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষণ। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, “সত্যি বলতে দারুণ উপভোগ করেছি। অনেক স্থানীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে দেখা হয়েছে, যাদের ক্যারিয়ারের শুরু দেখেছিলাম। অনূর্ধ্ব–১৯ সময়ের কথা মনে পড়ে গেছে। ছোটবেলার মতো এমন পরিবেশে খেলতে পেরে অসাধারণ লেগেছে, যেন পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছি।”

    ×
    10 November 2025 19:36