
নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন, বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার নিয়ন্ত্রণে সিভিল প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী—কোনো কিছুই নেই। একটি অনলাইন পোর্টালে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এলডিপি সভাপতি দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। কর্নেল অলি আহমদ বলেন, “ড. ইউনূসকে হয়তো পালিয়ে যেতে হবে হাসিনার মতো। আমি এটা ভবিষ্যদ্বাণী করে দিচ্ছি। কারণ, কোনো জিনিস তার নিয়ন্ত্রণে নেই। সিভিল প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী—কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই।” দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যত্রতত্র খুন হচ্ছে। যে যখন ইচ্ছা রাস্তা ব্লক করে বসে পড়ছে, দাবি-দাওয়া আদায় করছে। এটা মগেরমুলুকে পরিণত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে গোলমাল হচ্ছে। রিফিউজির সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এখানে বক্তব্য দিয়ে, হাসি দিয়ে দেশ চালালে হবে না। কঠোরভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে। দেশকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কাজ করতে হবে। তিনি (ড. ইউনূস) সেটা করতে পারছেন না। কারণ, তিনি নিয়েছেন সব এনজিও আর ডিজিও-বিজিও-এগুলো। যাদের মন্ত্রণালয় পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে বা আগে সাবেক এমপি ছিল এ ধরনের লোক তার সঙ্গে খুব কম।”
‘রক্তচোষা ও দালালদের রাজনীতি করার অধিকার নেই’
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এলডিপি সভাপতি বলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি—দেশের সম্পদ যারা লুণ্ঠন করেছে বা লুণ্ঠন করতে সাহায্য করেছে, যারা ভারত সরকারের দালাল হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা হলো খুনি, তারা হলো জনগণের রক্তচোষা। রক্তচোষাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।” অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কর্নেল অলি বলেন, “আজকে অনেকগুলো ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেক নিরীহ ব্যাংক কর্মচারী তাদের চাকরি চলে যাচ্ছে। কেউ কি চিন্তা করছে—এই পরিবারগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? যেখানে সরকারের দায়িত্ব হলো নতুন নতুন মানুষকে এম্প্লয়মেন্ট দেওয়া, চাকরি দেওয়া, ওই জায়গায় আমরা তাদের বের করে দিচ্ছি।”
তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। প্রধান উপদেষ্টা হেসেখেলে বেড়াচ্ছেন। মানুষ যে রাস্তায় ভিক্ষা করছে, এটা দেখছেন না। উনি শুধু আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক করছেন। কিন্তু নিজের জাতির কী হচ্ছে এ খবর তাদের কাছে নেই।”

Reporter Name 


















