০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    ডেটার মালিকানা জনগণের : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

    • Reporter Name
    • Update Time : ০৫:০০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
    • ৪৬ Time View

    নতুন অধ্যাদেশের মূল দিকসমূহ: ডেটার মালিকানা জনগণের কাছে: পূর্বে ডেটার মালিকানা সরকারের বা সংস্থার হাতে থাকত। নতুন আইনের মাধ্যমে ব্যক্তি তার নিজস্ব ডেটার মালিক। ব্যক্তি সম্মতি ছাড়া তার ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ব্যবহার বা বিনিময় সম্ভব নয়। 

    ডেটা শ্রেণীবিভাগ:
    ডেটাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

    1. সরকারি উন্মুক্ত ডেটা
    2. বেসরকারি উন্মুক্ত ডেটা
    3. কনফিডেনসিয়াল ডেটা
    4. রেস্ট্রিক্টেড ডেটা

    ডেটা প্রক্রিয়াজাতকরণে আইনি বাধ্যবাধকতা:

    কনফিডেনসিয়াল ও রেস্ট্রিক্টেড ডেটা প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান বা প্ল্যাটফর্মকে বাংলাদেশের আদালতের নির্দেশ মানতে হবে।বাংলাদেশে সরাসরি অফিস না থাকলেও লিয়াজোঁ অফিস বা অন্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতের নির্দেশ মানা বাধ্যতামূলক। ডেটা লোকালাইজেশন ত্যাগ: নতুন আইন অনুসারে, সমস্ত ডেটা বাংলাদেশে রাখতে হবে এমন শর্ত ত্যাগ করা হয়েছে। এটি “ক্লাউড ফার্স্ট” নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে মাইক্রোসফট, অ্যাপল ইত্যাদি ক্লাউডে ডেটা প্রসেস করে।

    প্রতিষ্ঠান ও ডেটা ব্যবহার:

    প্রতিষ্ঠান কীভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানকে ডেটা দিবে এবং ডেটা দেশের ভিতরে ও বাইরে ব্যবহার করবে তার স্পষ্ট নির্দেশনা এসেছে।

    সারসংক্ষেপে:
    এই অধ্যাদেশগুলো ব্যক্তিগত ডেটার স্বত্ত্বাধিকার নিশ্চিত করছে, বাংলাদেশে ডেটা প্রক্রিয়াজাত ও ব্যবহারকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনছে এবং বিদেশি বা বড় প্রযুক্তি কোম্পানির জন্যও আদালতের নির্দেশ মানার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করছে।

    ×
    10 November 2025 20:09


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    ডেটার মালিকানা জনগণের : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

    Update Time : ০৫:০০:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

    নতুন অধ্যাদেশের মূল দিকসমূহ: ডেটার মালিকানা জনগণের কাছে: পূর্বে ডেটার মালিকানা সরকারের বা সংস্থার হাতে থাকত। নতুন আইনের মাধ্যমে ব্যক্তি তার নিজস্ব ডেটার মালিক। ব্যক্তি সম্মতি ছাড়া তার ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ব্যবহার বা বিনিময় সম্ভব নয়। 

    ডেটা শ্রেণীবিভাগ:
    ডেটাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

    1. সরকারি উন্মুক্ত ডেটা
    2. বেসরকারি উন্মুক্ত ডেটা
    3. কনফিডেনসিয়াল ডেটা
    4. রেস্ট্রিক্টেড ডেটা

    ডেটা প্রক্রিয়াজাতকরণে আইনি বাধ্যবাধকতা:

    কনফিডেনসিয়াল ও রেস্ট্রিক্টেড ডেটা প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান বা প্ল্যাটফর্মকে বাংলাদেশের আদালতের নির্দেশ মানতে হবে।বাংলাদেশে সরাসরি অফিস না থাকলেও লিয়াজোঁ অফিস বা অন্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতের নির্দেশ মানা বাধ্যতামূলক। ডেটা লোকালাইজেশন ত্যাগ: নতুন আইন অনুসারে, সমস্ত ডেটা বাংলাদেশে রাখতে হবে এমন শর্ত ত্যাগ করা হয়েছে। এটি “ক্লাউড ফার্স্ট” নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে মাইক্রোসফট, অ্যাপল ইত্যাদি ক্লাউডে ডেটা প্রসেস করে।

    প্রতিষ্ঠান ও ডেটা ব্যবহার:

    প্রতিষ্ঠান কীভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানকে ডেটা দিবে এবং ডেটা দেশের ভিতরে ও বাইরে ব্যবহার করবে তার স্পষ্ট নির্দেশনা এসেছে।

    সারসংক্ষেপে:
    এই অধ্যাদেশগুলো ব্যক্তিগত ডেটার স্বত্ত্বাধিকার নিশ্চিত করছে, বাংলাদেশে ডেটা প্রক্রিয়াজাত ও ব্যবহারকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনছে এবং বিদেশি বা বড় প্রযুক্তি কোম্পানির জন্যও আদালতের নির্দেশ মানার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করছে।

    ×
    10 November 2025 20:09