০৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না : শেখ হাসিনা, থাকতে চান ভারতেই

    • Reporter Name
    • Update Time : ০৪:০০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
    • ২৮ Time View

    ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই, ভারতেই থাকতে চান শেখ হাসিনা: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারে অস্বীকৃতি, বললেন মামলা ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ নয়াদিল্লি: ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, আপাতত ভারতের বাইরে অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই এবং তিনি দিল্লিতে ‘নিরিবিলি ও স্বাধীনভাবে’ বসবাস করছেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর, ২০২৫) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং অন্যান্য গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

    ক্ষমা চাওয়ায় অস্বীকৃতি ও মামলার প্রতিক্রিয়া রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর দায়ভার নিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে রাজি হননি। ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’: সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অগ্রাধিকার: তিনি বলেন, তার এখন অগ্রাধিকার হলো ‘বাংলাদেশের কল্যাণ ও স্থিতিশীলতা’। ভারতেই থাকার পরিকল্পনা, ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা ভারতে সাময়িক আশ্রয় নিয়েছেন। তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে নানা জল্পনা থাকলেও, তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আপাতত তার অন্য কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই।

    তিনি জানান, তিনি ভারতের বাইরে আশ্রয় নেওয়ার কোনো ইচ্ছা পোষণ করেন না এবং ভারতেই থাকার পরিকল্পনা করেছেন। এর আগে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাকে ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের কাছে অনুরোধ (নোট ভারবাল) পাঠিয়েছে। তবে ভারত এখনও প্রকাশ্যে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি জানান, যদি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া না হয়, তবে দলটির লাখ লাখ সমর্থক ভোট বয়কট করবে।

    তিনি আশা করেন, নির্বাচনের আগে তার দল আওয়ামী লীগ কার্যক্রম চালাতে পারবে। দলীয় নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা আমার বা আমার পরিবারের বিষয় নয়।” তিনি বিশ্বাস করেন, তার পরিবারের নেতৃত্ব ছাড়াই আওয়ামী লীগ একদিন আবার বাংলাদেশের ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে—সরকারেই হোক বা বিরোধী দলেই। তিনি আরও বলেন, যদি দেশে বৈধ সরকার থাকে, সংবিধানের প্রাধান্য রক্ষিত হয় এবং সত্যিকার অর্থে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে, তবে তিনি অবশ্যই দেশে ফিরতে চাইবেন।

    ×
    10 November 2025 19:46


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না : শেখ হাসিনা, থাকতে চান ভারতেই

    Update Time : ০৪:০০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

    ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই, ভারতেই থাকতে চান শেখ হাসিনা: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার ছাত্র-জনতার হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারে অস্বীকৃতি, বললেন মামলা ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ নয়াদিল্লি: ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, আপাতত ভারতের বাইরে অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়ার কোনো ইচ্ছা তার নেই এবং তিনি দিল্লিতে ‘নিরিবিলি ও স্বাধীনভাবে’ বসবাস করছেন। বুধবার (২৯ অক্টোবর, ২০২৫) আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং অন্যান্য গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

    ক্ষমা চাওয়ায় অস্বীকৃতি ও মামলার প্রতিক্রিয়া রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর দায়ভার নিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে রাজি হননি। ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’: সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অগ্রাধিকার: তিনি বলেন, তার এখন অগ্রাধিকার হলো ‘বাংলাদেশের কল্যাণ ও স্থিতিশীলতা’। ভারতেই থাকার পরিকল্পনা, ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা ভারতে সাময়িক আশ্রয় নিয়েছেন। তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে নানা জল্পনা থাকলেও, তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আপাতত তার অন্য কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই।

    তিনি জানান, তিনি ভারতের বাইরে আশ্রয় নেওয়ার কোনো ইচ্ছা পোষণ করেন না এবং ভারতেই থাকার পরিকল্পনা করেছেন। এর আগে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাকে ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের কাছে অনুরোধ (নোট ভারবাল) পাঠিয়েছে। তবে ভারত এখনও প্রকাশ্যে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি জানান, যদি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া না হয়, তবে দলটির লাখ লাখ সমর্থক ভোট বয়কট করবে।

    তিনি আশা করেন, নির্বাচনের আগে তার দল আওয়ামী লীগ কার্যক্রম চালাতে পারবে। দলীয় নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা আমার বা আমার পরিবারের বিষয় নয়।” তিনি বিশ্বাস করেন, তার পরিবারের নেতৃত্ব ছাড়াই আওয়ামী লীগ একদিন আবার বাংলাদেশের ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে—সরকারেই হোক বা বিরোধী দলেই। তিনি আরও বলেন, যদি দেশে বৈধ সরকার থাকে, সংবিধানের প্রাধান্য রক্ষিত হয় এবং সত্যিকার অর্থে আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে, তবে তিনি অবশ্যই দেশে ফিরতে চাইবেন।

    ×
    10 November 2025 19:46