
আবু সাঈদ হত্যা: বেরোবি’র সাবেক ভিসি হাসিবুরসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ১০ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ ট্রাইব্যুনাল-২ এ শুনানি, পলাতক আসামিদের পক্ষে জেরা অব্যাহত, ঢাকা: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ দশম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বেরোবি’র সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ জন। তবে হাসিবুর রশীদসহ ২৪ জন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। নবম দিনের শুনানিতে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শক—এসআই রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল—জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। পরে পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে চার স্টেট ডিফেন্সসহ গ্রেপ্তারদের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম ও আবদুস সোবহান তরফদার। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর অষ্টম দিনের শুনানিতে তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন। সপ্তম দিনে (২২ সেপ্টেম্বর) গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আবু সাঈদকে হাসপাতালে নিতে এগিয়ে আসা সিয়াম আহসান আয়ানকে জেরা করা হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর তিনি এ মামলায় সাক্ষ্য দেন এবং পুরো ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থার লাইব্রেরিয়ান আনিসুর রহমানকে জেরা করা হয়। এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর তিনি পাঁচ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। ওই দিন এসআই মো. তরিকুল ইসলামও সাক্ষ্য দেন। এছাড়াও, ৮ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলামের জেরা শেষ হয়। ৭ সেপ্টেম্বর তিনি জবানবন্দি দেন। ওই দিন দ্বিতীয় সাক্ষী রংপুরে কর্মরত এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হককেও জেরা করা হয়। গত ২৮ আগস্ট জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এই মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেরোবি’র সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। পলাতক আসামিদের পক্ষে গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ২৭ আগস্ট চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। গত ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় মোট ৬২ জন সাক্ষী রয়েছেন।

Reporter Name 


















