
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতা হেলাল উদ্দিন বলেছেন যে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে ৫টি প্রধান দাবি আদায় করতে হবে। তিনি মনে করেন, এই দাবিগুলো পূরণ হলেই দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তার উত্থাপিত ৫টি দাবি হলো:
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা
→ অর্থাৎ জুলাইয়ে যেসব পরিবর্তন বা ঘোষণা হয়েছে, সেগুলোকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ নির্বাচন করা
→ তিনি প্রস্তাব করছেন, সংসদে শুধু একটি কক্ষ না থেকে দুইটি কক্ষ (উচ্চ ও নিম্নকক্ষ) থাকুক, এবং সেগুলো অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন হোক।সব দল যেন সমান সুযোগ পায় – লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা
→ নির্বাচনে কোনো দল যেন অন্যায়ভাবে সুবিধা না পায়।গত সরকারের ‘জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার’ করা
→ অর্থাৎ আগের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে প্রকাশ্য বিচারের আওতায় আনতে হবে।জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা
→ তিনি তাদের ‘স্বৈরাচারের সহযোগী’ হিসেবে দাবি করে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবিধান নিয়ে তার প্রশ্ন
তিনি বলেন, যারা এখন প্রতিদিন নির্বাচন চাচ্ছে, তারা কোন সংবিধানের ভিত্তিতে কথা বলছে?
যদি শেখ হাসিনার তৈরি সংবিধান মানা হয়, তবে সেই সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৯ সালে হওয়ার কথা, ২০২৫-২৬ সালে নয়।
অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চাইছেন —
একদিকে তারা সংবিধানের কথা বলে, অন্যদিকে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চাইছে না — এটা দ্বিচারিতা।
শেষ বক্তব্য
তিনি আহ্বান করেন —
জুলাই বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলকে ভূমিকা রাখতে হবে, জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না ।

Reporter Name 


















