
পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নৌ চ্যানেল ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ, ইউএনও’র বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ । পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর নৌ চ্যানেলের ইজারা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) পর্যন্ত তারা দুজনই ঢাকা মহাখালী বক্ষব্যাধী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর সাড়া ইউনিয়নের ক্যানেলপাড়া এলাকায় পদ্মার সাড়াঘাট নৌ চ্যানেল ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে নিজাম উদ্দিন ও সজিব হোসেন নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হন। সাক্ষীরা জানান, ইজারাদার এটি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসানের লোকজনের ওপর অপরপক্ষ গ্রুপঅন সার্ভিসেস লিমিটেডের মালিক খান্দকার সোহেল গ্রুপের সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিতে গুলি চালায়।ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাড়া ইউনিয়নের ক্যানেলপাড়া এলাকায় স্থানীয়রা মানববন্ধন করেন। ‘ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের’ ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ নিজামের মা ফাহিমা খাতুন এবং সজিবের দাদী রিজিয়া বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে পুরো এলাকা ভারী হয়ে ওঠে।মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের অবহেলা ও ব্যর্থতার কারণে এ ধরনের সহিংসতা ঘটেছে। তারা দাবি করেন, নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের মদদে অপরপক্ষের সন্ত্রাসীরা বৈধ ইজারাদারদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মানববন্ধনে ইউএনওর অপসারণও দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে লক্ষীকুন্ডা নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। বর্তমানে নদী এলাকায় টহল টিম মোতায়েন রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।” তবে ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি সদ্য যোগ দিয়েছি, এখনো পুরো পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারিনি। পদ্মার ভেতরে একটি গ্রুপ বালুমহল দখলের উদ্দেশ্যে এমন সংঘর্ষ সৃষ্টি করছে। বিষয়টি নৌ–পুলিশ ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

Reporter Name 



















