০৭:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদনপত্র চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

    • Reporter Name
    • Update Time : ০২:০০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • ৭৪ Time View

    প্রথমবারের মতো দেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন আহ্বান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিকখাতে বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক খাতের দক্ষতা বাড়ানো, সেবার পরিসর বিস্তৃত করা আর ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসই) অর্থায়নের সুযোগ সহজ করাই এর লক্ষ্য। এতে আরও বলা হয়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে এই উদ্যোগ। একইসঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজে ঋণ পৌঁছে দিতে ডিজিটাল ব্যাংক একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলেও মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আবেদনকারীদের নির্ধারিত প্রস্তাবপত্রের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা (অফেরতযোগ্য) ফি জমা দিতে হবে। এ টাকা যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে দিতে হবে। শর্ত পূরণ না করলে আবেদন বাতিল হবে। এছাড়াও আবেদনপত্র সরাসরি জমা দেওয়ার পাশাপাশি ই-মেইলের মাধ্যমেও সব নথি জমা দেওয়া যাবে। বিস্তারিত নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হবে। পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালিত হবে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনের অধীনে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংকের কেবল একটি প্রধান কার্যালয় থাকবে, কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম, সিডিএম বা সিআরএম থাকবে না। সব ধরনের সেবা অ্যাপভিত্তিক হবে যা মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এই ব্যাংক ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না।

    এর আগে, ২০২৩ সালের ১৪ জুন ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ছিল ১২৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি তা বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

    ×
    10 November 2025 19:15


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদনপত্র চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

    Update Time : ০২:০০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    প্রথমবারের মতো দেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন আহ্বান করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিকখাতে বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক খাতের দক্ষতা বাড়ানো, সেবার পরিসর বিস্তৃত করা আর ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসই) অর্থায়নের সুযোগ সহজ করাই এর লক্ষ্য। এতে আরও বলা হয়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে এই উদ্যোগ। একইসঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজে ঋণ পৌঁছে দিতে ডিজিটাল ব্যাংক একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলেও মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আবেদনকারীদের নির্ধারিত প্রস্তাবপত্রের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা (অফেরতযোগ্য) ফি জমা দিতে হবে। এ টাকা যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে দিতে হবে। শর্ত পূরণ না করলে আবেদন বাতিল হবে। এছাড়াও আবেদনপত্র সরাসরি জমা দেওয়ার পাশাপাশি ই-মেইলের মাধ্যমেও সব নথি জমা দেওয়া যাবে। বিস্তারিত নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হবে। পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালিত হবে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনের অধীনে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংকের কেবল একটি প্রধান কার্যালয় থাকবে, কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম, সিডিএম বা সিআরএম থাকবে না। সব ধরনের সেবা অ্যাপভিত্তিক হবে যা মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এই ব্যাংক ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না।

    এর আগে, ২০২৩ সালের ১৪ জুন ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ছিল ১২৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি তা বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

    ×
    10 November 2025 19:15