

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের কিসমত জাফরাবাদ আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এতে আসামি করা হয়, নির্বাহী প্রকৌশলী কাওসার মোর্শেদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামান ও ঠিকাদার মেসার্স হক কনস্ট্রাকশন প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মেসার্স ইউটি মং এর মালিক মাঈনুল কবিরকে। দুর্নীতির মামলার আসামি হয়েও গৃহায়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অফিস মিরপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেয়া হয় কাওসার মোর্শেদকে। বদলি আদেশে একই মামলার আরেক আসামি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অলিউল ইসলামকে নিয়ে আসা হয় মিরপুরে। এনিয়ে বেশ সমালোচনা ও সাপ্তাহিক মানি লাইনে সংবাদ প্রকাশের পর বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর মাঝেই দুর্নীতির মামলায় আলোচিত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অলিউল ইসলামকে দেয়া হয় পদন্নতি।জাতীয় গৃহয়ন কর্তৃপক্ষের এক অফিস আদেশে অলিউল ইসলামকে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী থেকে পদন্নতি দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা ও ডিজাইন ডিভিশন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে।
সংশ্লীষ্টদের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক গৃহায়নের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যেখানে গত মাসের ২৬ তারিখ ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দুর্নীতির মামলার এই আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কি ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে বিষয়ে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেখানে অলিউল ইসলামের পদন্নতি প্রশ্ন তুলেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি বাস্তবায়নে জাতীয় গৃহয়ন কর্তৃপক্ষ কতটা আন্তরিক। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, দুদকের মামলার আসামি মো: অলিউল ইসলামকে এই পদে পদোন্নতি দিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব আলমগীর হুছাইন নিয়েছেন মোটা অংকের অর্থ। দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যে তরুণরা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানী করে উল্টো দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেয়ায় ক্ষুব্ধ সচেতন মহল।