
ডা. তাহের ‘সংস্কারের প্রশ্নে কোনো আপস মানি না’ বলে মন্তব্য করেছেন। তার এই বক্তব্যটি মূলত জুলাই সনদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তৈরি হওয়া মতবিরোধের প্রেক্ষিতে এসেছে। তাহেরের বক্তব্যের মূল বিষয়বস্তু ডা. তাহেরের বক্তব্যের মূল ফোকাস ছিল গণতন্ত্র, সুশাসন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ওপর। তার বক্তব্যের মূল সারাংশ হলো: আপসহীন অবস্থান: তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য সংস্কার অপরিহার্য, এবং এই প্রশ্নে তার দল কোনো আপস করবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধীতা: তিনি মনে করেন, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার যেকোনো প্রচেষ্টা ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনবে। এক ব্যক্তির হাতে অসম ক্ষমতা থাকলে ফ্যাসিবাদ জন্ম নেয় এবং বাংলাদেশের জনগণ সেই ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। বিএনপির সমালোচনা: তার বক্তব্যের একটি বড় অংশ ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সমালোচনা। তিনি অভিযোগ করেন যে:
জুলাই সনদে সই করার পরও বিএনপি এখন সংস্কার প্রক্রিয়া মানছে না। বিএনপি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (Dissention/নাবিলম্ব) দেওয়ার মাধ্যমে স্বৈরাচার হওয়ার এক ধরনের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করছে, যা ফ্যাসিবাদের পথ বন্ধ করার সংস্কারে বাধা দিচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তনের চেয়ে বিএনপি কি গণভোট ও নির্বাচন একই দিনে করার জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বাঁচানোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে? প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান: তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে তাকে ‘হিরো’ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সংস্কার কার্যকর হলেই জাতি তাকে স্মরণ করবে। “সংস্কার হয় না ডক্টর ইউনূস জিরো, সংস্কার হবে ডক্টর ইউনূস হিরো।”
সরকারের দায়িত্ব: তিনি মনে করিয়ে দেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা নয়, বরং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন।

Reporter Name 



















