০৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির আসন নিয়ে আলোচনা 

    • Reporter Name
    • Update Time : ০১:০০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
    • ৫৫ Time View

    আলোচনা শুরু: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে। সর্বোচ্চ আসন ছাড়ের সীমা: দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, সহযোগী দলগুলোকে এবার সর্বোচ্চ ৪০টি আসন ছাড়া হতে পারে। এর বাইরে আসন দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিভিন্ন জোট/দলের আসন দাবি: বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জোট ও দল থেকে যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা জমা পড়েছে, তাতে মোট আসন দাবি করা হয়েছে:

    গণতন্ত্র মঞ্চ: ১৩৮টি, ১২ দলীয় জোট: ২১টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট: ৯টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি): ১৩টি, জাতীয় পার্টি: ৫টি, গণফোরাম: ১৫টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি: ৬টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম): ১০টি, আসন বণ্টনের প্রধান মানদণ্ড: বিএনপি জানিয়েছে, জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাকেই আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রধান মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দলটি মিত্রদের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করছে বিভিন্ন জরিপ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে।

    ২০১৮ সালের নির্বাচন ও জামায়াত: ২০১৮ সালের নির্বাচনে শরিকদের ৫৮টি আসন দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার জামায়াতের সঙ্গে কোনো জোটে না যাওয়ার কারণে নতুন শরিক দলগুলোর মধ্যে থেকেই আসন বণ্টন হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যের মন্তব্য: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘মিত্রদের আসন দেওয়া হবে সেসব এলাকায়, যেখানে জয়লাভের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে।’ সম্ভাব্য প্রার্থীরা: সূত্র অনুযায়ী, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- মোস্তফা জামাল হায়দার (জাতীয় পার্টি-জাফর চেয়ারম্যান, পিরোজপুর–১) শাহাদাত হোসেন সেলিম (এলডিপির চেয়ারম্যান, লক্ষ্মীপুর–১) সৈয়দ এহসানুল হুদা (বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান, কিশোরগঞ্জ–৫) মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্যের সভাপতি, বগুড়া–২) জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬) ববি হাজ্জাজ (এনডিএম চেয়ারম্যান, ঢাকা–১৩) আন্দালিব রহমান পার্থ (বিএনপি-বিজেপি চেয়ারম্যান, ঢাকা–১৭) ড. রেদোয়ান আহমেদ (এলডিপি মহাসচিব, কুমিল্লা–৭) ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (এনপিপি চেয়ারম্যান, নড়াইল–২) এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গণসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনসিপির সাথে সম্পর্ক: একই সঙ্গে বিএনপি এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করছে এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ দেখছে।

    চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা: মিত্রদের আসন ছাড় সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলতি মাসের মধ্যে জানানো হবে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

    ×
    15 November 2025 21:00


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির আসন নিয়ে আলোচনা 

    Update Time : ০১:০০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

    আলোচনা শুরু: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে। সর্বোচ্চ আসন ছাড়ের সীমা: দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, সহযোগী দলগুলোকে এবার সর্বোচ্চ ৪০টি আসন ছাড়া হতে পারে। এর বাইরে আসন দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিভিন্ন জোট/দলের আসন দাবি: বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জোট ও দল থেকে যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা জমা পড়েছে, তাতে মোট আসন দাবি করা হয়েছে:

    গণতন্ত্র মঞ্চ: ১৩৮টি, ১২ দলীয় জোট: ২১টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট: ৯টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি): ১৩টি, জাতীয় পার্টি: ৫টি, গণফোরাম: ১৫টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি: ৬টি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম): ১০টি, আসন বণ্টনের প্রধান মানদণ্ড: বিএনপি জানিয়েছে, জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাকেই আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রধান মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দলটি মিত্রদের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করছে বিভিন্ন জরিপ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে।

    ২০১৮ সালের নির্বাচন ও জামায়াত: ২০১৮ সালের নির্বাচনে শরিকদের ৫৮টি আসন দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার জামায়াতের সঙ্গে কোনো জোটে না যাওয়ার কারণে নতুন শরিক দলগুলোর মধ্যে থেকেই আসন বণ্টন হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যের মন্তব্য: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘মিত্রদের আসন দেওয়া হবে সেসব এলাকায়, যেখানে জয়লাভের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে।’ সম্ভাব্য প্রার্থীরা: সূত্র অনুযায়ী, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- মোস্তফা জামাল হায়দার (জাতীয় পার্টি-জাফর চেয়ারম্যান, পিরোজপুর–১) শাহাদাত হোসেন সেলিম (এলডিপির চেয়ারম্যান, লক্ষ্মীপুর–১) সৈয়দ এহসানুল হুদা (বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান, কিশোরগঞ্জ–৫) মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্যের সভাপতি, বগুড়া–২) জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬) ববি হাজ্জাজ (এনডিএম চেয়ারম্যান, ঢাকা–১৩) আন্দালিব রহমান পার্থ (বিএনপি-বিজেপি চেয়ারম্যান, ঢাকা–১৭) ড. রেদোয়ান আহমেদ (এলডিপি মহাসচিব, কুমিল্লা–৭) ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (এনপিপি চেয়ারম্যান, নড়াইল–২) এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে গণসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনসিপির সাথে সম্পর্ক: একই সঙ্গে বিএনপি এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করছে এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ দেখছে।

    চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা: মিত্রদের আসন ছাড় সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলতি মাসের মধ্যে জানানো হবে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

    ×
    15 November 2025 21:00