
হ্যাঁ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে ‘সংঘবদ্ধ দুর্নীতি’ হয়েছে বলে পর্যালোচনা কমিটি তাদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে জানিয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটি গত ২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে তাদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন হস্তান্তর করে।মূল পর্যালোচনা ও অভিযোগসমূহ অনিয়ম ও দুর্নীতি: কমিটির প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিতে ‘সীমাহীন দুর্নীতি, যোগসাজশ, জালিয়াতি, অনিয়ম’ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’-এর (যা ‘দায়মুক্তি আইন’ নামেও পরিচিত) অধীনে সম্পাদিত চুক্তিগুলোতে এই দুর্নীতি হয়েছে। দাম বৃদ্ধি: কমিটির সদস্য মোশতাক হোসেন খান বলেন, এই দুর্নীতির কারণে ইতোমধ্যে দেশে বিদ্যুতের দাম প্রতিযোগীদের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি হয়ে গেছে। সাবসিডি (ভর্তুকি) সরিয়ে দিলে এটি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারতো। সার্বভৌম চুক্তি: তিনি আরও উল্লেখ করেন যে চুক্তিগুলো ‘সার্বভৌম চুক্তি’ হওয়ায় ইচ্ছা অনুযায়ী বাতিল করা কঠিন, কারণ আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে বড় অঙ্কের জরিমানা হতে পারে। সংশ্লিষ্টতা: অভিযোগ উঠেছে, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক, আমলা এবং রাজনীতিবিদদের যোগসাজসে এই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। আদানির চুক্তি: আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নিয়েও আলাদা একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে বাতিল করতে দ্বিধা করা হবে না বলে জ্বালানি উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদন: কমিটি আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছে।
গোপনীয়তা: কমিটির প্রধান বলেছেন, বিস্তারিত তথ্য প্রতিবেদনে রয়েছে এবং এটিকে গোপনীয় রাখা হয়েছে। উপদেষ্টা প্রকাশ করলে জনগণ বিস্তারিত জানতে পারবে।আইনি ব্যবস্থা: আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জ্বালানি উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

Reporter Name 



















