
শিরোনাম: এইচএসসির ফলে বড় ধস, ২০২ প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি; পাসের হার সর্বনিম্ন ৫৮.৮৩ শতাংশ গত বছরের চেয়ে শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠান তিন গুণ বৃদ্ধি; জিপিএ-৫ কমেছে ৭৬ হাজারেরও বেশি ঢাকা: চলতি বছরের (২০২৫) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে। সারা দেশে ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির ফলাফলের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি। এবার সে সংখ্যা তিনগুণের বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টিতে।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৮.৮৩ শতাংশ, যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ২০২৪ সালে পাসের হার ছিল ৭৭.৭৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমেছে ১৮.৯৫ শতাংশ।
ফলাফলের তুলনামূলক চিত্র:
সূচক ২০২৫ সাল ২০২৪ সাল পরিবর্তন
গড় পাসের হার ৫৮.৮৩% ৭৭.৭৮% কমেছে ১৮.৯৫%
জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ৬৯,০৯৭ জন ১,৪৫,৯১১ জন কমেছে ৭৬,৮১৪ জন
শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠান ৩৪৫টি ১,৩৮৮টি কমেছে ১,০৪৩টি
শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান ২০২টি ৬৫টি বেড়েছে ১৩৭টি
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা: করোনার কারণে কয়েক বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও, পাঁচ বছর পর ২০২৫ সালে প্রথমবারের মতো পূর্ণমান, পূর্ণ সময় ও পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, যার প্রভাব ফলাফলে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যেসব বিষয়ে ফেল বেশি: প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবার শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ফেল করেছেন হিসাব বিজ্ঞান, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে। বিশেষত ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞানে পাশের হার উদ্বেগজনকভাবে কমেছে।
বোর্ডভিত্তিক পাসের হার (সাধারণ বোর্ড): নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে পাসের হারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এগিয়ে (৬৪.৬২%) এবং কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড পিছিয়ে (৪৮.৮৬%)। অন্য বোর্ডগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে ৫৯.৪০%, বরিশালে ৬২.৫৭%, সিলেটে ৫১.৮৬%, দিনাজপুরে ৫৭.৪৯%, ময়মনসিংহে ৫১.৫৪%, যশোরে ৫০.২০% এবং চট্টগ্রামে ৫২.৫৭% শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
অন্যান্য বোর্ড:
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৬১ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬২.৬৭ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের মন্তব্য: আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, এই ফলাফল শিক্ষার বাস্তব চিত্র সামনে এনেছে এবং শিক্ষার্থীরা এখন পড়ার টেবিল থেকে দূরে সরে যাওয়ায় এই ফল এসেছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদেরও ভাবতে হবে।

Reporter Name 



















