
নেওয়াজ সাকিল আহমেদ : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ও ইছাপুরের বর্ডার ২ ইউনিয়নের খামারবাড়ী সংলগ্ন সোনাপুর বাজারের ব্যাবসায়ীর পরিবারে নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় খ্যাতনামা ব্যবসায়ী মিজান ক্রোকারিজ-এর মালিক মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৫৫) ও কলেজপড়ুয়া মেয়ে তানহা আক্তার মীম (২০)-কে নিজ বাড়িতে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সাথে নিয়ে গেছে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ মালামালসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ।
নিহত জুলেখা বেগম গৃহিণী এবং তানহা মীম রামগঞ্জ মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কোনো এক সময়ে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে বলে জানান নিহতের ছেলে ফরহাদ হোসেন রাব্বী। রাব্বী জানান, প্রতিদিনের মতো তিনি বাবার সাথে দোকানে ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন মূল গেট খোলা এবং ঘরের ভেতর সব এলোমেলো। ডাকাডাকিতে সাড়া না পেয়ে দোতলায় মায়ের রুমে গিয়ে দেখতে পান মা ও বোন রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর পড়ে আছেন। তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। নিহতের বড় মেয়ে রুমি সুলতানার স্বামী ও রামগঞ্জ বাজারের ‘খাদেম ফ্যাশন’-এর মালিক গোলাম মর্তুজা মামুন জানান, “আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। রাব্বীর বিয়ের জন্য সম্প্রতি প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ কেনা হয়েছিল—সম্ভবত সেটিই এই ঘটনার মূল কারণ।”
খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল বারী বলেন, “প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি ডাকাতির বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে তদন্ত চলছে।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী জানান, “মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এটি ডাকাতি নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যা—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

Reporter Name 



















