
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ (বেড়া-সুজানগর) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির মনোনয়ন তুলেছেন লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ। তিনি এনসিপির যুব উইং জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও প্রেস উইং প্রধান। বুধবার সন্ধ্যায় বাংলামোটরে অবস্থিত জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। এ সময় পাবনা-২ আসনের বিপুল পরিমাণ ভোটার এনসিপি, যুবশক্তি, শাপলা কলি ও আসাদ ভাই স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়।
মনোনয়ন সংগ্রহ করে মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছি। প্রতিনিয়ত প্রথাগত রাজনীতি শেখার পাশাপাশি নতুন নতুন ধারণা রাজনীতিতে প্রয়োগ করছি। প্রচারে নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য আনতে পারলে তিন চার মাসে একটা আসনের ফলাফল ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। দল যদি আমার উপর ভরসা রাখে এবং পাবনা-২ আসনে মনোনয়ন দেয়, এমন কিছু দুর্দান্ত আইডিয়া নিয়ে নির্বাচনি প্রচার শুরু করব যা খুব দ্রুতই সকল হিসাব বদলে দেবে। আসাদ বলেন, নয়া বন্দোবস্ত আজ কেবল তাত্ত্বিক কথা নয় বরং অত্যাবশ্যকীয় বাস্তবতা; যা দেশের ক্ষমতা জনগণের দ্বারে নিয়ে যাবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি আমার উপর আস্থা রাখলে সেই আস্থার প্রতিদান দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ বলেন, পাবনা-২ আসন নির্দিষ্ট কোনো দলের ভোটব্যাংক না। অতীতে এক হাজার থেকে বিশ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিভিন্ন দলের প্রার্থী জিতেছেন। একবার আওয়ামী লীগ তো আরেকবার বিএনপির প্রার্থী জিতেছেন। তার মানে আমার অঞ্চলের মানুষ দল দেখে না, ভোট দেয় নেতৃত্ব দেখে। পাবনা-২ আসনে প্রায় চার লাখ ভোটার আছে। যার মধ্যে প্রায় একলাখ ভোটারের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হলেও তারা জীবনেও ভোট দিতে পারেননি। এনসিপি হলো জনতার ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দল। আমার বিশ্বাস বেড়া ও সুজানগর উপজেলার ভোটাররা এই বিষয়টা মাথায় রেখেই ভোট দিতে যাবেন। সেই সঙ্গে তরুণদের বাবা মায়েরাও নতুন বাংলাদেশ দেখতে চান। সুস্থ মনের মুরুব্বিরাও শাপলা কলি সামনে পেলে অন্য কোনো মার্কায় ভোট দেবেন না।
উল্লেখ্য- মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক হিসেবে জাতীয় পর্যায় পরিচিত এক নাম। গত ১৫ বছর ধরে দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। বর্তমানে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিনোদন বিভাগের দায়িত্বে আছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সাতটি বই লিখেছেন। যার মধ্যে তিনটি উপন্যাস ও চারটি গল্পের বই। তার লেখা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ পর্যালোচনা তথা রিভিউ করেছেন। তার আগমন বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসেবে মত দিয়েছেন সাহিত্য সমালোচকরা। এমন একজন সৃজনশীল তরুণের রাজনীতিতে আগ্রহী হওয়ায় দেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদী বিজ্ঞ মহল।

Reporter Name 



















