০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    ৩ হাজার ৭০০ কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

    • Reporter Name
    • Update Time : ০৯:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
    • ৫১ Time View

    গাজা চুক্তিতে ইসরায়েল কর্তৃক ৩,৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মুক্তি পশ্চিম তীর/গাজা, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ – ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল গতকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর, ২০২৫) এক বিশাল বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়ায় মোট ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে এই মুক্তির খবরটি নিশ্চিত করেছে। এই ঘটনা ফিলিস্তিনি পরিবার ও মুক্তিকামী জনগণের মধ্যে ব্যাপক আনন্দের সঞ্চার করেছে। দুই ধাপে মুক্তি প্রক্রিয়া কারাবন্দিদের মুক্তি প্রক্রিয়াটি দু’টি প্রধান ব্যাচে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ব্যাচ (পশ্চিম তীর): প্রথম ব্যাচের বন্দিরা ইসরায়েলের মালিকানাধীন ‘ওফের’ কারাগার থেকে ছাড়া পান। এই ব্যাচে প্রায় ২ হাজার বন্দি ছিলেন। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে বেশ কয়েকটি বাসে করে এই কারাবন্দিরা পশ্চিম তীর অঞ্চলের রাজধানী রামাল্লার পশ্চিমাংশে অবস্থিত বেইতুনিয়া শহরে এসে পৌঁছান। মুক্তির পর তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলিত হন। দ্বিতীয় ব্যাচ (গাজা): প্রথম ব্যাচের পর বাকি বন্দিদের গাজা উপত্যকার দিকে পাঠানো হয়। এই বন্দিদের মধ্যে অনেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। রেডক্রসের মাধ্যমে পরিবহন বন্দিদের পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (ICRC) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সংস্থাটি মুক্তিকামী বন্দিদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাস সরবরাহ করে। মুক্তির পর আবেগঘন দৃশ্য কারাবন্দিদের মুক্তির খবরে পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বেইতুনিয়া শহরে মুক্ত বন্দিদের স্বাগত জানাতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জড়ো হন। তারা বিজয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন এবং মুক্তিকামী বন্দিদের ফুলের তোড়া ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেন। গাজায় পৌঁছানো বন্দিদেরও সেখানে তাদের পরিবার ও সাধারণ জনগণ সাদরে গ্রহণ করে।

    স্থানীয় সূত্র মতে, মুক্তিপ্রাপ্ত এই বন্দিদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘকাল ধরে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ছিলেন, এমনকি ২৫০ জন ছিলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এই বন্দিবিনিময় চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি নৈতিক জয় হিসেবে দেখছে হামাস। তবে কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তি পাওয়া কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েল জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠাচ্ছে, যা তাদের নাগরিকত্বের অধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। বর্তমানে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তির পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে অবশিষ্ট জিম্মি ও কারাবন্দিদের মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। (সূত্র: ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তর, হামাস জনসংযোগ দপ্তর ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা)

    যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল জেরুজালেম/রামাল্লা, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল সোমবার (১৩ অক্টোবর, ২০২৫) ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের সংঘাতের পর শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    দু’টি ব্যাচে বন্দিদের মুক্তি:

    মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের দু’টি ব্যাচে ছাড়া হয়েছে। প্রথম ব্যাচটি ইসরায়েলের মালিকানাধীন ‘ওফের’ কারাগার থেকে মুক্তি পায়। এই কারাগারে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ছিলেন। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে বেশ কয়েকটি বাসে করে এই বন্দিরা ওফের কারাগার থেকে পশ্চিম তীর অঞ্চলের রাজধানী রামাল্লার পশ্চিমাংশে অবস্থিত বেইতুনিয়া শহরে এসে পৌঁছান।

    ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রসের ভূমিকা:

    কারাবন্দিদের পরিবহনের জন্য বাস সরবরাহ করেছে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি)।

    বন্দিদের বরণ:

    মুক্তিপ্রাপ্ত কারাবন্দিদের স্বাগত জানাতে পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া ও গাজার খান ইউনিসে শত শত ফিলিস্তিনি অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের আগমনে সেখানে উৎসবের আমেজ দেখা যায়।

    কারাবন্দিদের বিস্তারিত:

    মুক্তি পাওয়া কারাবন্দিদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পর গাজায় এসে পৌঁছানো বন্দিদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসার মেডিকেল কমপ্লেক্সে।

    তবে কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৫৪ জন ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল। এই পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনিদের নাগরিকত্বের অধিকার লঙ্ঘন এবং বন্দিবিনিময় চুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতি হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।

    যুদ্ধবিরতি চুক্তির পটভূমি:

    ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে। এর আগে, চুক্তির আওতায় তিন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছিল।

    এই বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে যেমন আনন্দের সঞ্চার করেছে, তেমনি বলপূর্বক নির্বাসনের মতো পদক্ষেপ উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এই চুক্তির পরবর্তী ধাপ এবং গাজায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এর প্রভাব কেমন হবে, সেদিকেই এখন নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল।

     

    (সংবাদ সংগৃহীত)

    ×
    15 November 2025 20:37


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    ৩ হাজার ৭০০ কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল

    Update Time : ০৯:০০:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

    গাজা চুক্তিতে ইসরায়েল কর্তৃক ৩,৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দির মুক্তি পশ্চিম তীর/গাজা, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ – ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল গতকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর, ২০২৫) এক বিশাল বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়ায় মোট ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে এই মুক্তির খবরটি নিশ্চিত করেছে। এই ঘটনা ফিলিস্তিনি পরিবার ও মুক্তিকামী জনগণের মধ্যে ব্যাপক আনন্দের সঞ্চার করেছে। দুই ধাপে মুক্তি প্রক্রিয়া কারাবন্দিদের মুক্তি প্রক্রিয়াটি দু’টি প্রধান ব্যাচে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ব্যাচ (পশ্চিম তীর): প্রথম ব্যাচের বন্দিরা ইসরায়েলের মালিকানাধীন ‘ওফের’ কারাগার থেকে ছাড়া পান। এই ব্যাচে প্রায় ২ হাজার বন্দি ছিলেন। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে বেশ কয়েকটি বাসে করে এই কারাবন্দিরা পশ্চিম তীর অঞ্চলের রাজধানী রামাল্লার পশ্চিমাংশে অবস্থিত বেইতুনিয়া শহরে এসে পৌঁছান। মুক্তির পর তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলিত হন। দ্বিতীয় ব্যাচ (গাজা): প্রথম ব্যাচের পর বাকি বন্দিদের গাজা উপত্যকার দিকে পাঠানো হয়। এই বন্দিদের মধ্যে অনেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। রেডক্রসের মাধ্যমে পরিবহন বন্দিদের পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (ICRC) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সংস্থাটি মুক্তিকামী বন্দিদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাস সরবরাহ করে। মুক্তির পর আবেগঘন দৃশ্য কারাবন্দিদের মুক্তির খবরে পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বেইতুনিয়া শহরে মুক্ত বন্দিদের স্বাগত জানাতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জড়ো হন। তারা বিজয়সূচক চিহ্ন দেখিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন এবং মুক্তিকামী বন্দিদের ফুলের তোড়া ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেন। গাজায় পৌঁছানো বন্দিদেরও সেখানে তাদের পরিবার ও সাধারণ জনগণ সাদরে গ্রহণ করে।

    স্থানীয় সূত্র মতে, মুক্তিপ্রাপ্ত এই বন্দিদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘকাল ধরে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ছিলেন, এমনকি ২৫০ জন ছিলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এই বন্দিবিনিময় চুক্তিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি নৈতিক জয় হিসেবে দেখছে হামাস। তবে কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তি পাওয়া কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েল জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠাচ্ছে, যা তাদের নাগরিকত্বের অধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। বর্তমানে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তির পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে অবশিষ্ট জিম্মি ও কারাবন্দিদের মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। (সূত্র: ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তর, হামাস জনসংযোগ দপ্তর ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা)

    যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল জেরুজালেম/রামাল্লা, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল সোমবার (১৩ অক্টোবর, ২০২৫) ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় কারাগার দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের সংঘাতের পর শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    দু’টি ব্যাচে বন্দিদের মুক্তি:

    মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের দু’টি ব্যাচে ছাড়া হয়েছে। প্রথম ব্যাচটি ইসরায়েলের মালিকানাধীন ‘ওফের’ কারাগার থেকে মুক্তি পায়। এই কারাগারে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ছিলেন। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে বেশ কয়েকটি বাসে করে এই বন্দিরা ওফের কারাগার থেকে পশ্চিম তীর অঞ্চলের রাজধানী রামাল্লার পশ্চিমাংশে অবস্থিত বেইতুনিয়া শহরে এসে পৌঁছান।

    ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রসের ভূমিকা:

    কারাবন্দিদের পরিবহনের জন্য বাস সরবরাহ করেছে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি)।

    বন্দিদের বরণ:

    মুক্তিপ্রাপ্ত কারাবন্দিদের স্বাগত জানাতে পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া ও গাজার খান ইউনিসে শত শত ফিলিস্তিনি অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের আগমনে সেখানে উৎসবের আমেজ দেখা যায়।

    কারাবন্দিদের বিস্তারিত:

    মুক্তি পাওয়া কারাবন্দিদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পর গাজায় এসে পৌঁছানো বন্দিদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসার মেডিকেল কমপ্লেক্সে।

    তবে কিছু সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৫৪ জন ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল। এই পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনিদের নাগরিকত্বের অধিকার লঙ্ঘন এবং বন্দিবিনিময় চুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতি হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।

    যুদ্ধবিরতি চুক্তির পটভূমি:

    ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিচ্ছে। এর আগে, চুক্তির আওতায় তিন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছিল।

    এই বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে যেমন আনন্দের সঞ্চার করেছে, তেমনি বলপূর্বক নির্বাসনের মতো পদক্ষেপ উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এই চুক্তির পরবর্তী ধাপ এবং গাজায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এর প্রভাব কেমন হবে, সেদিকেই এখন নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল।

     

    (সংবাদ সংগৃহীত)

    ×
    15 November 2025 20:38