
খালেদা জিয়া তিন এবং তারেক রহমান এক আসনে প্রার্থী ঢাকা, ৪ নভেম্বর ২০২৫ (মঙ্গলবার): আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অবশেষে ২৩৭টি আসনে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তালিকা প্রকাশ করেন। ঘোষিত তালিকায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ ও নবীনদের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ মনোনয়ন দেখা গেছে। বাকি আসনগুলো জোট শরিকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা বা পরে ঘোষণার জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মনোনয়ন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আসনগুলো হলো: দিনাজপুর-৩ বগুড়া-৭ ফেনী-১ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এছাড়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লড়বেন ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ও হেভিওয়েট প্রার্থীরা ঘোষিত তালিকায় দলের স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের নাম রয়েছে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন: কুমিল্লা-১ মির্জা আব্বাস: ঢাকা-৮ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: ঢাকা-৩ ড. আব্দুল মঈন খান: নরসিংদী-২ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: চট্টগ্রাম-১০ মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ: ভোলা-৩ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু: সিরাজগঞ্জ-২ এছাড়াও উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে ঢাকা-২ আসনে আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা-৬ আসনে ইশরাক হোসেন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, খুলনা-২ আসনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সিলেট-১ আসনে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির মনোনয়ন পেয়েছেন। তরুণ ও নতুন মুখের প্রাধান্য এবারের তালিকায় বেশ কিছু আসনে সাবেক ছাত্রনেতা ও তরুণ প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যা বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখার ইঙ্গিত দেয়। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পরীক্ষিত সৈনিক এবং জনসম্পৃক্ততা রয়েছে এমন প্রার্থীদেরকেই আমরা প্রাধান্য দিয়েছি।” বাকি আসন ও জোটের কৌশল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, এই তালিকাটি চূড়ান্ত নয়, এটি সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা। মোট ৩০০ আসনের মধ্যে বাকি ৬৩টি আসনে দল এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এর মধ্যে কিছু আসন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমাদের শরিকদের সঙ্গে যেসব আসনে আলোচনা চলছে, সেসব আসন এবং কিছু আসনে বিকল্প প্রার্থী নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
বিএনপির এই প্রার্থী ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি আরও স্পষ্ট হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Reporter Name 



















