০৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    হিন্দুত্ববাদীদের নতুন কৌশল: সিনেমার আড়ালে মুসলিম ইতিহাস দখলের রাজনীতি

    • Reporter Name
    • Update Time : ০৯:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
    • ৩১ Time View

    সিনেমা বা চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করে মুসলিম ইতিহাসকে দখল বা বিকৃত করার রাজনীতির কৌশল নিয়ে বর্তমানে ভারতে এমন কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যেখানে ঐতিহাসিক ঘটনাবলি, বিশেষ করে মুসলিম শাসকদের ইতিহাস বা মুসলিম-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এই ধরনের বিতর্ক সাধারণত দুটি মূল বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে: ইতিহাসের পুনর্লিখন বা বিকৃতি: কিছু সমালোচকের মতে, এই সিনেমাগুলোতে মুসলিম ব্যক্তিত্ব বা ঘটনাবলিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যা ঐতিহাসিকভাবে সঠিক নয়, অথবা তাদের নেতিবাচক দিকগুলিকে বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ইতিহাস ও অবদানকে মুছে ফেলা বা হেয় করা। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ: সিনেমাগুলো প্রায়শই এমনভাবে নির্মিত হয় যা হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, একে রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসেবে দেখা হয়, যার উদ্দেশ্য হলো সংখ্যাগরিষ্ঠের আবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা। উদাহরণ হিসেবে: বিভিন্ন মুঘল শাসক, সুলতানি আমল বা মধ্যযুগের অন্য মুসলিম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র বা ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত উপস্থাপন প্রায়ই এই ধরনের আলোচনার জন্ম দেয়।

    এই কৌশলগুলোর মূল উদ্দেশ্য হিসেবে যা বলা হয়ে থাকে: ঐতিহাসিক ন্যারেটিভ পরিবর্তন: একটি নতুন ঐতিহাসিক ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মুসলিম শাসনের সময়কালকে আগ্রাসন ও নিপীড়নের যুগ হিসেবে তুলে ধরা হয়। ভোটের রাজনীতি: নির্দিষ্ট ভোটের রাজনীতিতে মেরুকরণ সৃষ্টি করা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের একত্রিত করা। সাংস্কৃতিক প্রভাব: চলচ্চিত্রের মতো একটি শক্তিশালী মাধ্যম ব্যবহার করে জনমানসে দীর্ঘস্থায়ী সাংস্কৃতিক প্রভাব তৈরি করা। আপনি যদি এই বিষয়ে প্রকাশিত কোনো নির্দিষ্ট নিবন্ধ বা পর্যালোচনা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমি তা খুঁজে দিতে পারি।

    আর কোনো নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের উদাহরণ বা এই রাজনীতির প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান কি?

    ×
    10 November 2025 20:42


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    হিন্দুত্ববাদীদের নতুন কৌশল: সিনেমার আড়ালে মুসলিম ইতিহাস দখলের রাজনীতি

    Update Time : ০৯:০০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

    সিনেমা বা চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করে মুসলিম ইতিহাসকে দখল বা বিকৃত করার রাজনীতির কৌশল নিয়ে বর্তমানে ভারতে এমন কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যেখানে ঐতিহাসিক ঘটনাবলি, বিশেষ করে মুসলিম শাসকদের ইতিহাস বা মুসলিম-সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এই ধরনের বিতর্ক সাধারণত দুটি মূল বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে: ইতিহাসের পুনর্লিখন বা বিকৃতি: কিছু সমালোচকের মতে, এই সিনেমাগুলোতে মুসলিম ব্যক্তিত্ব বা ঘটনাবলিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যা ঐতিহাসিকভাবে সঠিক নয়, অথবা তাদের নেতিবাচক দিকগুলিকে বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ইতিহাস ও অবদানকে মুছে ফেলা বা হেয় করা। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ: সিনেমাগুলো প্রায়শই এমনভাবে নির্মিত হয় যা হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, একে রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসেবে দেখা হয়, যার উদ্দেশ্য হলো সংখ্যাগরিষ্ঠের আবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা। উদাহরণ হিসেবে: বিভিন্ন মুঘল শাসক, সুলতানি আমল বা মধ্যযুগের অন্য মুসলিম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র বা ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত উপস্থাপন প্রায়ই এই ধরনের আলোচনার জন্ম দেয়।

    এই কৌশলগুলোর মূল উদ্দেশ্য হিসেবে যা বলা হয়ে থাকে: ঐতিহাসিক ন্যারেটিভ পরিবর্তন: একটি নতুন ঐতিহাসিক ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মুসলিম শাসনের সময়কালকে আগ্রাসন ও নিপীড়নের যুগ হিসেবে তুলে ধরা হয়। ভোটের রাজনীতি: নির্দিষ্ট ভোটের রাজনীতিতে মেরুকরণ সৃষ্টি করা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের একত্রিত করা। সাংস্কৃতিক প্রভাব: চলচ্চিত্রের মতো একটি শক্তিশালী মাধ্যম ব্যবহার করে জনমানসে দীর্ঘস্থায়ী সাংস্কৃতিক প্রভাব তৈরি করা। আপনি যদি এই বিষয়ে প্রকাশিত কোনো নির্দিষ্ট নিবন্ধ বা পর্যালোচনা সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমি তা খুঁজে দিতে পারি।

    আর কোনো নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের উদাহরণ বা এই রাজনীতির প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান কি?

    ×
    10 November 2025 20:43