রুটিনের বাইরে অতিরিক্ত ক্লাস না করায় কথা-কাটাকাটির জেরে শিক্ষক রায়হান শরিফ পিস্তল দিয়ে গুলি করেন বলে জানিয়েছেন আহত শিক্ষার্থী তমাল। সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি একথা বলেন। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে কলেজের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক রায়হান শরিফকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় পিস্তলটিও উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ তমাল বলেন, ‘গতকাল রুটিনে কোনো ক্লাস ছিল না। তারপরও রায়হান স্যার ক্লাস নেবেন বলেছিলেন। তবে আমরা ক্লাস করিনি। আজ ভাইভা চলাকালে তিনি আমাদের ক্লাস না করার কারণ জানতে চান। এনিয়ে স্যারের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি পিস্তল বের করে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন।’ তমাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি বগুড়ার নাটাই পাড়ায়। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান আব্দুল্লাহেল কাফি বলেন, ‘শিক্ষার্থী তমালের পা থেকে গুলিটি বের করা হয়েছে। এখন সে আশঙ্কামুক্ত।’ সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। তিনি যে পিস্তল দিয়ে শিক্ষার্থীকে গুলি করেছিলেন তা মূলত অবৈধ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে।’ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত রায়হান শরিফ কলেজের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :