
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের একটি বিস্ফোরক মন্তব্যের সাথে সম্পর্কিত। জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের দাবি করেছেন যে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি আরও দাবি করেন যে: তাদের নাম ও পরিচয় তাদের কাছে আছে। তাদের কণ্ঠের রেকর্ড (ভয়েস রেকর্ড) এবং মিটিংয়ে দেওয়া বক্তব্যের খবর তাদের কাছে রয়েছে। হুঁশিয়ারি: তিনি ওই উপদেষ্টাদের সংশোধন হওয়ার জন্য সময় দিয়েছেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে যদি তারা ‘সময়মতো সাবধান না হন’, তাহলে জনসমক্ষে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। প্রেক্ষাপট: জামায়াত নেতা তাহেরের এই বক্তব্যটি সম্ভবত পিআর পদ্ধতিতে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোটের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি সমাবেশ বা মানববন্ধন থেকে এসেছে। এই মন্তব্যটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর ভূমিকাকে ঘিরে বিতর্ক ও সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো পরিকল্পিত নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। আমি সরকারকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, আজকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই না—আজকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, প্রশাসনের যে অবস্থা এবং যে ষড়যন্ত্র চলছে এটাকে বন্ধ করুন।’
তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য লোকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করুন। আর যদি না হয়, কোন কোন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আমাদের কাছে নাম আছে। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে। মিটিংয়ে তারা কী বক্তব্য রাখেন, তার খবর আছে। আমরা জনগণের কাছে আপনাদেরকে এখন প্রকাশ করছি না। সুযোগ করে দিতে চাই, আপনাদের সংশোধনের জন্য সময় দিতে চাই। যদি সময়মতো সাবধান না হন, তাহলে জনসম্মুখে নাম প্রকাশ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারাই জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের শহীদদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। আপনারাই রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানুষের অধিকারের যে সুযোগ আছে, তার সাথে বেইমানি করছেন। আজকে যারা ১৫ বছরের বেইমানির জন্যে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন, দেশে থাকলেও সূর্যের মুখ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না, আপনাদের পরিণতি তার চেয়েও খারাপ হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাহের বলেন, ‘আপনি ভালো মানুষ, কিন্তু আপনার সরলতার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক আপনাকে বিভ্রান্ত করছে এবং অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে। আপনি তাদের সরান, নাহলে জনগণই তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করবে।’

Reporter Name 



















