০৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

    নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ জরুরি : শ্রম উপদেষ্টা

    • Reporter Name
    • Update Time : ১১:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
    • ৪৭ Time View

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন কেবলমাত্র স্লোগানে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না — এটিকে বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে, অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী জায়গাগুলোতে আরও বেশি নারীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে

    নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, এদের বেশিরভাগই তরুণ। দেশের এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে যথাযথ দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নারীদের যোগাযোগ কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। এ জন্য জাতীয় সংসদে আরও বেশিসংখ্যক নারীর প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের নেতৃত্বদানের ক্ষমতাকে বিকশিত করতে হবে। দেশের নীতি নির্ধারণের পর্যায়ে নারীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে।

    উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশের প্রায় ৭০ ভাগ মহিলা পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জাতীয় অর্থনীতিতে নারী সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সমাজের সর্বস্তরে এখনও নারীদের কাজের মূল্যায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে না। অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে কর্মরত নারী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

     

    তিনি মূলত যে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন:

    1. নারী জনসংখ্যা দেশের অর্ধেক — বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম।
      👉 এই বিপুল জনশক্তিকে সঠিক প্রশিক্ষণ দিলে তারা দেশ ও বিদেশে কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।

    2. নারীদের যোগাযোগ দক্ষতা (Communication Skills) বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
      👉 বিশেষ করে বিদেশে কাজ করতে গেলে ভাষা, আচরণ ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা খুব জরুরি।

    3. সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ জরুরি
      👉 সংসদ, সরকারি প্রশাসন, নীতি প্রণয়নকারী টাস্কফোর্স — এসব জায়গায় নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে।

    4. নারীরা ইতোমধ্যেই অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে, বিশেষ করে পোশাক শিল্পে ৭০% কর্মী নারী
      👉 কিন্তু এখনও তাদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না

    5. অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরের নারী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ রয়েছে, তবে সেটি আরও জোরদার হতে হবে।

    6. জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) নারীদের স্কিল ডেভেলপমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

    তিনি বলতে চেয়েছেন —

    “নারীদের শুধু কাজ দেওয়া নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক নয়, নেতৃত্বের আসনেও নারীকে বসাতে হবে।”

    ×
    15 November 2025 21:41


    Tag :

    Write Your Comment

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Save Your Email and Others Information

    About Author Information

    জনপ্রিয় পোস্ট

    নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ জরুরি : শ্রম উপদেষ্টা

    Update Time : ১১:০০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

    ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন কেবলমাত্র স্লোগানে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না — এটিকে বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে, অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী জায়গাগুলোতে আরও বেশি নারীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে

    নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে দেশের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, এদের বেশিরভাগই তরুণ। দেশের এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে যথাযথ দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নারীদের যোগাযোগ কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। এ জন্য জাতীয় সংসদে আরও বেশিসংখ্যক নারীর প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের নেতৃত্বদানের ক্ষমতাকে বিকশিত করতে হবে। দেশের নীতি নির্ধারণের পর্যায়ে নারীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে।

    উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দেশের প্রায় ৭০ ভাগ মহিলা পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত। জাতীয় অর্থনীতিতে নারী সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সমাজের সর্বস্তরে এখনও নারীদের কাজের মূল্যায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে না। অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে কর্মরত নারী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

     

    তিনি মূলত যে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন:

    1. নারী জনসংখ্যা দেশের অর্ধেক — বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম।
      👉 এই বিপুল জনশক্তিকে সঠিক প্রশিক্ষণ দিলে তারা দেশ ও বিদেশে কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।

    2. নারীদের যোগাযোগ দক্ষতা (Communication Skills) বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
      👉 বিশেষ করে বিদেশে কাজ করতে গেলে ভাষা, আচরণ ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা খুব জরুরি।

    3. সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণ জরুরি
      👉 সংসদ, সরকারি প্রশাসন, নীতি প্রণয়নকারী টাস্কফোর্স — এসব জায়গায় নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে।

    4. নারীরা ইতোমধ্যেই অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে, বিশেষ করে পোশাক শিল্পে ৭০% কর্মী নারী
      👉 কিন্তু এখনও তাদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না

    5. অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরের নারী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকারের উদ্যোগ রয়েছে, তবে সেটি আরও জোরদার হতে হবে।

    6. জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA) নারীদের স্কিল ডেভেলপমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

    তিনি বলতে চেয়েছেন —

    “নারীদের শুধু কাজ দেওয়া নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক নয়, নেতৃত্বের আসনেও নারীকে বসাতে হবে।”

    ×
    15 November 2025 21:41