রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ রুটে ফেরি চালু হয়েছে। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আরিচা ও কাজিরহাট ঘাটে প্রায় সহস্রাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়ে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা এরিয়ার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, গত কয়েক দিন ধরে নৌপথে ডুবোচরের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। মাঝে-মধ্যে ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে ফেরিগুলো। নাব্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় ফেরিগুলো হাফলোড নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিল। পানি ক্রমাগত হ্রাসের কারণে নৌ চ্যানেলটি আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে, যা ফেরি চলাচলকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এ অবস্থায় শুক্রবার রাতে ফেরি সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
যমুনা নদীর নাব্য রক্ষার্থে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং ইউনিট অব্যাহতভাবে ড্রেজিং করায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় রোববার সকাল থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ড্রেজিং ইউনিটের প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ড্রেজিংকৃত চ্যানেল প্রবলশ্রোতে ভরাট হওয়ার ফলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
অপর প্রকৌশলী ওসমান গনি ইত্তেফাককে জানান, এ বছর পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাটসহ নিধারিত নৌরুটে ৩৮ লক্ষ ঘনমিটার পলি অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এরমধ্যে ২৪০ ফুট প্রস্থ বেসিং ও ১০ ফুট গভীরতার চ্যানেল তৈরির কার্যক্রম চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :