কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা বিএনপিতে কদিন আগেও যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলো, রাতারাতি খোলস বদলে এখন তারাই বিএনপির হোমরা চোমড়া বনে গেছেন।এদের মধ্যে অন্যতম দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। তার ভাই আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মো. আমিরুল ইসলাম। সেই সুবাদে নিজেও সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমে। অথচ দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রতি ঘোষিত কুষ্টিয়ার আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য বাচ্চু মোল্লার নিকট আত্মীয় হওয়ার সুবাদে আবারও বিএনপির রঙে নিজেকে রাঙিয়েছেন এই নেতা।
এরপরই আসে বাচ্চু মোল্লার আরেক আত্মীয় উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. জহুরুল করিমের নাম। অভিযোগ রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানসিক ভারসাম্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন এই বিএনপি নেতা।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ কর্মী রতন এখন বাচ্চু মোল্লা পরিবারের সদস্যের মতই। শুধু বাচ্চু মোল্লা নয়, তার ভাইসহ আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই আওয়ামী লীগ কর্মী।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাচ্চু মোল্লার ছত্রছায়ায় এমন ডজন খানেক হাইব্রিড নেতা এখন বিএনপির প্রথম সারির নেতা।
হাইব্রিডদের আধিপত্তের মাঝে সম্প্রতি ঘোষিত কুষ্টিয়ার আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ক্ষোভে ফুসছেন নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, ত্যাগি ও র্নিযাতিতদের বাদ দিয়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে সুবিধাবাদী ও হাইব্রিড নেতাদের।
শুধু কুষ্টিয়া নয়, এমন চিত্র কুমিল্লাতেও। হোমনা উপজেলা কমিটিতে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে অবৈধভাবে কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জেও রয়েছে টানপোড়ন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী’র দোসরদের বিএনপিতে অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সেখানকার নেতাকর্মীরা।
এমন পরিস্থিতিতে হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীদের বিতাড়িত করে বিএনপির ত্যাগি ও বঞ্চিতদের সুযোগ দেয়ার দাবি তৃণমূলের।
আপনার মতামত লিখুন :