হজ চুক্তি করতে আগামীকাল শনিবার সৌদি আরব যাচ্ছে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ-সৌদির হজ চুক্তি হবে আগামী ৯ জানুয়ারি। কভিডের আগে যে পরিমাণ হজযাত্রী সৌদি গিয়েছিলেন, সে পরিমাণ কোটা অর্থাৎ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে চলতি বছর হজে পাঠানোর আবেদন জানাবে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও ১০ হাজার বেশি হজযাত্রী পাঠানোর আবেদন জানানো হতে পারে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন গতকাল সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আনোয়ার হোসাইন বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে। দলে মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম থাকবেন। এ ছাড়া সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হজ কাউন্সিলর, কনসাল জেনারেল প্রতিনিধি দলে যুক্ত হবেন। চলতি বছর জুনের শেষ সপ্তাহে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি দলের আগামী ১৫ জানুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, হজ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে ফরিদুল হক খান এবং সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ সই করবেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি সৌদি আরবের হজ ও ওমরা কনফারেন্স এবং এক্সিবিশনেও অংশ নেবেন।
কভিডের কারণে পরপর দুবছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। গত বছর মাত্র ৬০ হাজার হজযাত্রী সৌদি গিয়েছেন। এবার বাংলাদেশকে আগের কোটা অনুযায়ী ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রীকে হজ পালনের অনুমতি দিতে পারে সৌদি। এর মধ্যে ১৫ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করতে পারবেন। সেই অনুযায়ী খসড়া চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনের নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার চাইবে বাংলাদেশ।
এদিকে এবার রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ও লাগেজ তল্লাশির কাজ ঢাকায় সম্পন্ন হবে। এজন্য আগে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি হয়। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদ বাংলাদেশ সফরে এলে গত ১৩ নভেম্বর এ চুক্তি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :