এই স্বাধীন বাংলাদেশে আজ সকল নাগরিকবৃন্দ উন্মুক্ত, স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছেন। এই অর্জনকে স্থায়ীভাবে টিকিয়ে রাখতে হবে। ৫ ই আগস্ট,, শত বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ২০২৪ সালের , গণঅভ্যুত্থান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি হৃদয়ে ধারণ ও লালন করতে হবে। এ অর্জন ধরে রাখার দায়িত্ব শুধুমাত্র আমাদেরই। এদেশে ফের কেউ বৈষম্যের শিকার হলে “দুষ্টের দমন- শিষ্টের লালন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান। এরই ধারাবাহিক অংশ হিসেবে জাতি বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষদের জন্য শীতবস্ত্র উপহার পাঠিয়েছেন এদেশের মাটি ও মানুষের নেতা তারেক রহমান। পুরো শীতকালে দলীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত মিরপুরের দারুসসালাম থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে ঘুরে ঘুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপহার হিসেবে ৫’শ শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল। এসময় পাপেল বলেন, শহীদ জিয়ার সন্তান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য এই ছোট্ট উপহারটি পাঠিয়েছেন। আমাদের নেতা দেশবাসীর কাছে বেগম খালেদা জিয়া রোগ মুক্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া চেয়েছেন। এসময় তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে তারেক রহমানের উপহার জনগণের মাঝে বিতরণ করতে পারিনি। এই শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম বিভিন্ন ওয়ার্ড ভিত্তিক চলমান থাকবে। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় গরীব দুঃখী মানুষের জন্য এই শীত বস্ত্র আমরা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিব। বিগত দিনগুলিতে আমরা স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারিনি। আজ আমরা স্বাধীন হয়েছি সকল মানুষের জন্য আজ এ স্বাধীন বাংলাদেশ। আজ এই অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত, বিগত ১৭ টি বছর এরা সকলেই অত্যাচারিত-নির্যাতিত হয়েছি। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম- আহবায়ক জনাবা ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কোনোরকম অন্যায়, অপরাধ, চাঁদাবাজি, রাহাজানি কিংবা অরাজকতা করলে সে যেই হোক কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। তাদের অপরাধের ধরণ নির্ণয় করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ দলীয় উর্ধ্বতন মহলের সাথে আলোচনা করে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে দল থেকে বহিষ্কার করাও হতে পারে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির অন্যতম যুগ্ন আহ্বায়ক ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর সদস্য হাফিজুল হাসান শুভ্র, হানিফ মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক খলিল চৌধুরী, শাফায়েত রাব্বি আরাফাত, দারুস সালাম থানা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আলমগীর হোসেন ভুট্টু, খালেদুন নবী খালিদ, এইচ এম ইমরান হোসেন, আবু সায়েম মন্ডল, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি শফিকুল ইসলাম মামুন, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি র সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন রতন, যুব নেতা রাশেদুল ইসলাম ফয়সাল, আবুল কালাম আজাদ লেলিন, মির্জা মামুন, আজিজুর রহমান শাহীন, শ্যামল আহমেদ রাসেল, মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সরোয়ার আলম পিয়াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, যুব নেতা কুদ্দুসুর রহমান বিপ্লব, মিরপুর কলেজের মওদুদ আহমেদসহ বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :