গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি যে নেতার জন্ম না হলে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি দেশ লাল, সবুজের পতাকা পেতাম না সেই মহান স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী এই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করতে শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, যে কোনভাবে ক্ষমতা পচ্চিম পাকিস্তান রাজনীতিবিদের হাতে কুক্ষিগত করে রাখা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল, ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন আহবান করেন।কিন্তু অপত্যাশিত ১লা মার্চ এই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মলতবি ঘোষণা করেন।
এই সংবাদে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভ ফেটে পড়ে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মফিজুর রহমানের নেতৃত্ব ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়।তিনি ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল, এই ভাষনে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এই ভাষনে একটি লিখিত ভাষ্য অচিরেই বিতরণ করা হয়েছিল। এটি তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক কিছু পরিমার্জিত হয়েছিল। পরিমার্জনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা। ১৩ ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়।
১৩তম হিসাবে মাহাতো নৃতাত্বিক জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় কুড়মালি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়। যা নৃ তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ১ম অনুবাদ। নিউজ মাগাজিন শেখ মজিবুর রহমান কে রাজনীতি কবি হিসেবে উল্লেখ করে।এই ভাষণে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এই ভাষণের একটি লিখিত ভাষ্য অচিরেই বিতরণ করা হয়েছিল। এটি তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক কিছু পরিমার্জিত হয়েছিল। পরিমার্জনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা। ১৩ টি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়। ১৩ তম হিসেবে মাহাতো নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর কুড়মালি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়, যা নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ভাষায় ১ম অনুবাদ। নিউজউইক ম্যাগাজিন শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি হিসেবে উল্লেখ করে। ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
* সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা
* পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতিকদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত
* সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো
* অত্যাচার ও সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য বাঙালিদের আহ্বান জানানো
* দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে সার্বিক হরতাল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান।
* নিগ্রহ ও আক্রমণ প্রতিরোধের আহ্বান এবং বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করা।
বিএম জাহিদ হাসান, সাবেক সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার মতামত লিখুন :