লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য কামরুল সরকারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না পেয়ে হামলার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। এমনটি অভিযোগ করেন সদর উপজেলার ২০নং চর রমনী মোহন ইউনিয়নের সাহাবুদ্দিন মোল্লা ও তার পরিবার। সাহাবুদ্দিন ঐ ইউনিয়নের উত্তর চর রমনী গ্রামের মৃত সোলেমান মাষ্টারের ছেলে। অভিযুক্ত কামরুল সরকার একই এলাকার ইমাম হোসেন করাতির ছেলে ও ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এছাড়া তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
সাহাবুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, গত দেড় বছর আগে কামরুল সরকার তার পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেন। এতে পার্শ্ববর্তী আমাদের জমির পাড় সহ একটি অংশ ভেঙে যায়। ঐ পাড় বেঁধে দেওয়ার জন্য কামরুল সরকারকে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং দিচ্ছি দেবো বলে কালক্ষেপণ করেন। সম্প্রতি আমার ছেলে মোঃ মানিক মিয়া ও কামাল হোসেন প্রবাস থেকে আসে। কামরুল সরকার তাদের কাছ থেকে ৩লাখ চাঁদা দাবি করে। সে টাকা না দেওয়ায় গত ১৭এপ্রিল সন্ধ্যায় কামরুল সরকার ও তার লোকজন ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় আমার ছেলে মানিক ও কামালকে আটকে রাখে এবং মারধর করে। পরে আমি গিয়ে ১৫হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করি।
সাহাবুদ্দিনের ছেলেরা বলেন, কামরুল সরকার ইউপি সদস্য হওয়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। গত ২১এপ্রিল রাতে তার লোকজন দিয়ে আমাদের গাছ গাছালি কেটে ফেলে। এছাড়া আমাদের উপর হামলা ও চাঁদা দাবি করে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কামরুল সরকার বলেন, ড্রেজারে বালু উত্তোলন করা সত্য নয়। জোয়ারের পানিতে তাদের জমি ভেঙ্গেছে। এছাড়া চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনাও মিথ্যা। মোঃ আলি নামের এক ব্যবসায়ী মানিকের কাছ থেকে টাকা পাবে। টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি।
আপনার মতামত লিখুন :