বিআইডব্লিউটিএ’র আলমগীরের যোগসাজশে আমিনবাজারে রেকর্ডীয় সম্পত্তির মাটি খনন করে বিক্রির অভিযোগ।


প্রকাশের সময় : জুলাই ৩, ২০২৪, ৭:১৩ অপরাহ্ন / ১৫৬
বিআইডব্লিউটিএ’র আলমগীরের যোগসাজশে আমিনবাজারে রেকর্ডীয় সম্পত্তির মাটি খনন করে বিক্রির অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা জেলার আমিন বাজার ইউনিয়নের বড় বরদেশী এলাকায় নদী রক্ষার নামে অবৈধভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডয়ীয় সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিরুদ্ধে। রেকর্ডিয় ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তির মালিক খোরশেদা হায়াতের ছেলে রাজীব আহমেদ অভিযোগ করে বলেন,” ঢাকা জেলার আমিন বাজার ইউনিয়নের বড় বরদেশী এলাকায় ২০০৯ সালে তুরাগ নদীর পাড়ে ৫২ শতাংশ জমি আমার মায়ের নামে ক্রয় করে সাব-কবলা রেজিস্ট্রি করে হাল নাগাদ খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখলে আছি। আমাদের পুর্ববর্তী জমির মালিকগন সিএস,এস.এ এবং আর.এস পর্চামুলে মালিক বিদ্যমান থেকে এই জমি আমাদের অনূকুলে হস্তান্তর করেন। আমাদের জমির পাশে শাহ সিমেন্ট কোম্পানি কোম্পানি বেশ কিছু জমি ক্রয় করে কারখানা স্থাপনের জন্য বিশাল এলাকাজুড়ে বালু ভরাট করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের এই জমিটির মালিকানা দাবি করে আমাদের সাথে দেওয়ানি মামলা করে জমিতে কোর্ট হতে স্থিতিবস্থা জারী করে। এ বিষয়ে আমারা বিজ্ঞ আদালতে স্থিতিবস্থার বিরুদ্ধে আপিল করে তা ভেকেট করি। আদালতে আমাদের সাথে পেরে না উঠে শাহ সিমেন্ট কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে তাদের দখলদারিত্ব কায়েম করতে আলমগীর নামক একজন যুগ্ম পরিচালক কে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে এমন অনৈতিক কাজ করে চলেছে।

রাজীব আহমেদ আরও বলেন, খতিয়ানভুক্ত ও খাজনা পরিশোধিত ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তির ওপর কোনো নোটিশ ছাড়া এবং অধিগ্রহণ ছাড়া অন্যায়ভাবে সরকারি কাজের অজুহাত দিয়ে এমন কাজ আইন লঙ্ঘনের শামিল। বিআইডব্লিউটিএ তুরাগ নদীর আমিন বাজার নৌপথের ল্যান্ডিংয়ের রক্ষা বাঁধ নির্মাণের নামে উল্লেখিত মৌজার ভোগ দখলিয় সম্পত্তিতে মাটি উত্তোলন করে জমির অবস্থান নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত । এটি নদী রক্ষা কমিশন আইন-২০১৩ এবং সংবিধান লঙ্ঘন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজীব আহমেদ বলেন, ‘আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী কখনো এই ধরনের অবৈধ কাজকে সমর্থন করেন না। বরং তিনি গরিব দুঃখী, নিরীহ ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে অধিকার ফিরিয়ে দেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন, প্রভাবশালীর স্বার্থ রক্ষা না করে রেকর্ডিয় সম্পত্তির মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করেন। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগের বিষযয়ে বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলো তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(পর্ব -১)