ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টানাপড়েনে পড়ে। তাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা নাখোশ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে না বলে জানিয়েছিল।
কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় চার মাসের মাথায় দুই দেশের সম্পর্কে বড় টানাপড়েনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে এবং দিন দিন কূটনৈতিক দূরত্ব আরও স্পষ্ট হচ্ছে।যদিও বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে ভারত আগেই দূরত্ব তৈরির পথে হাঁটে। এরপর সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ধোঁয়া তুলে পরিস্থিতি আরও ঘোলা করার চেষ্টা করে। দেশটির গণমাধ্যমেও চলছে অতিরঞ্জন, যা বাংলাদেশ সরকার ভালোভাবে নেয়নি।
এরই মধ্যে গত ২৪ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের দূরত্ব আরও বেড়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা। এই ইস্যুতে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের সিদ্ধান্তও নিয়েছে কলকাতার একটি হাসপাতাল।
এ পরিস্থিতিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় দুই দেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও বৈঠকটি শেষ পর্যন্ত হবে কি না এ নিয়েও রয়েছে সংশয়।
তবে বৈঠকটি হলে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার সমস্যাগুলো সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়। তবে ঢাকার তরফে দিল্লিকে বরাবরই বলা হয়েছে, এগুলো ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে দিল্লিকে আশ্বস্ত করা হয়।
কিন্তু বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ এবং গত ২৪ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের পর দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই দেশের পতাকা অবমাননার ছবি প্রচারসহ পরস্পরবিরোধী আগ্রাসী প্রচারণা, কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা কিংবা তাদের উপাসনালয়ে ভাঙচুর-হুমকির অভিযোগ উঠে আসছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের ঘটনার দিকে ভারত নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে ভারতের লোকসভায়ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ঢাকা-দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দীর্ঘ ৫৩ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এতটা খারাপ হয়নি। কখনো বেশি উষ্ণ, কখনো কিছুটা শীতল আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্য দিয়ে পার করেছে।
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ের দীর্ঘ ১৬ বছর সবচেয়ে উষ্ণতম সম্পর্ক ছিল দুই দেশের মধ্যে। আর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো মনে করছে, ঢাকা-দিল্লির এই টালমাটাল সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই ক্ষতিকর। প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না থাকলে শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যই নয়, নিরাপত্তা হুমকিও থাকে।
এদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের বিক্ষোভের ঘটনাকে ‘সহিংস’ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক ঐতিহ্যগত। দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক অবশ্যই স্থিতিশীল করতে হবে। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকে উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। তৃতীয় অনেক দেশে ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, কোনো কোনো গোষ্ঠী দায়িত্বহীনভাবে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতে। এ কারণেই ঘটনা এতদূর গড়িয়েছে। সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগেই একটা সংলাপে যেতে পারতো। ইসকনকে নিষিদ্ধের কথা আগে থেকেই বলা হচ্ছিল। কিন্তু সরকারের দিক থেকে যতটা দায়িত্বশীল বক্তব্য আসা দরকার ছিলো তা হয়নি।
ঢাকা দিল্লি সম্পর্ক নিয়ে কূটনীতিকদের বক্তব্য, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হলেও বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে দুই দেশের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই দুই দেশের পক্ষ থেকেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার তাগিদ অনুভব করা উচিত।
৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক একরকম, এখন অন্যরকম: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে ভারতের সঙ্গে এক রকম সম্পর্ক ছিল।
৫ আগস্টের পরে সেটার পরিবর্তন হয়ে গেছে, এটা হলো বাস্তবতা। এ বাস্তবতার নিরিখেই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিনির্মাণ করতে হবে এবং এটা অব্যাহত রাখতে হবে। যেকোনো পরিবর্তনেই সময় লাগে।
আমার বিশ্বাস যে ভারত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নিতে হবে, সেটা উপলব্ধি করবে এবং করছেও সেটা। আমি প্রত্যাশা করব, তারা সে অনুযায়ী এগোবে।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক: প্রত্যাশা, প্রতিবন্ধকতা এবং ভবিষ্যৎ’শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ভারত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নিতে হবে সেটা অবশ্যই উপলব্ধি করবে। ইতিমধ্যে হয়ত ভারত সেটা করছেও।’
ভারতে সঙ্গে বর্তমানে প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা তো আছে কিছুই। পূর্ববর্তী সরকার ভারতের যে বিষয়গুলোয় উদ্বেগ ছিল, সেগুলো দূর করার যথাসাধ্য চেষ্টা তারা করেছে।
আমাদেরও কিছু উদ্বেগ ছিল, আছে। যদি একই সঙ্গে আমাদের উদ্বেগগুলো যথাযথভাবে দূর করা হতো, তাহলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে একধরনের একটা দোলাচল যে আছে, সেটা কিন্তু থাকত না। মোটা দাগে আমরা দেখতে পাই, আমাদের যেসব উদ্বেগ ছিল, ভারত সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী হতে চাইবো। আমরা একটা ভালো সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। যাতে দুই পক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হয়।’
দুই দেশের সম্পর্কের সাম্প্রতিক তিক্ততার জন্য ভারতের গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ভারতের মিডিয়া হঠাৎ করে একেবারে যেন ভয়ংকরভাবে লেগে পড়ল আমাদের বিরুদ্ধে। আমি এটা স্পষ্টভাবে এবং খোলাখুলিভাবে বলেছি, বিভিন্ন বিবৃতিতে সেটা উল্লেখ করেছি। ভারতের মিডিয়া যে ভূমিকা নিয়েছে, সেটা কোনো অবস্থাতেই দুটি দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক নয়। তারা কেন এটা করছে, তারা ভালো বলতে পারবে।’
তিনি বলেন, এখানে তাঁর মনে হয় এ দেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন আছে। ভারতের গণমাধ্যমে যে মিথ্যাচার হচ্ছে, সেগুলোকে তুলে নিয়ে আসা ফ্যাক্ট চেকের টুলের মাধ্যমে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত: শুক্রবার লোকসভায় করা লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতির ওপর ভারত গভীরভাবে নজর রাখছে। তবে সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেশটির সরকারের।
জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশজুড়ে চলতি বছরের আগস্টসহ বিভিন্ন সময়ে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুর ওপর সহিংসতার খবর দেখেছে ভারত সরকার। তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলোতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
জয়শঙ্কর বলেন, চলতি বছর শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় বাংলাদেশে বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকার তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে চুরির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। এসব ঘটনার পর বিশেষ নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদ্যাপন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল।
জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজর রাখছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন। সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের জীবন রক্ষা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রাথমিক দায়িত্ব দেশটির সরকারের।
বাংলাদেশে ‘উগ্র বক্তব্যের ঢেউ’ও সহিংসতা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত: এর আগে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘উগ্র বক্তব্যের ঢেউ, সহিংসতা ও উসকানির ক্রমবর্ধমান ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এসব বিষয় শুধু মিডিয়ার অতিরঞ্জন হিসেবে খারিজ করা যায় না।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ‘দুর্দশা’ নিয়ে ভারতের অবস্থান কী, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের জবাবে জয়সোয়াল বলেন, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু যেসব হুমকি পাচ্ছেন এবং তাদের নিশানা করে সংঘটিত হামলার বিষয়গুলো ভারত ধারাবাহিকভাবে ও শক্ত করে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরছে। এটা একটি উদ্বেগজনক বিষয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই সব সংখ্যালঘুকে রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
বাংলাদেশে ইসকন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সোয়াল বলেন, আমরা ইসকনকে দেখি বিশ্বব্যাপী একটি স্বনামধন্য সংগঠন হিসেবে। যাদের জোরালো সামাজিক কর্মকাণ্ডের রেকর্ড রয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হতে পারে বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সোয়াল বলেন, ‘এটা যখন হয়, তখন আপনাদের জানানো হবে।’
বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো কলকাতার হাসপাতাল : কলকাতার জেএন রায় হাসপাতাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশে ‘হিন্দু-বিরোধী’ সহিংসতা এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্বারা ভারতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কলকাতার মানিকতলা এলাকায় অবস্থিত হাসপাতালটি ভারতের প্রতি ‘অসম্মানের’ প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটি বিবৃতি জারি করেছে।
সূত্র : দেশ রূপান্তর
আপনার মতামত লিখুন :