রহস্য বোলিংয়ের কারণে আফগান ক্রিকেটে ‘নতুন মুজিব’ খেতাব পেয়েছেন আল্লাহ গজনফর। কেন তাঁকে এই নামে ডাকা হয়, আজ আবারও তা দেখালেন। বোলিং ফিগারটা দেখুন ৬.৩–১–২৬–৬! গজনফরের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে হারল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের শেষ ৮ উইকেট পড়েছে ২৩ রানে। ২৫.৪ ওভার শেষে স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১২০। এখান থেকে ৫৩ বলের ব্যবধানে পড়েছে শেষ ৮ উইকেট। এর মধ্যে শেষ ৭ উইকেট পড়েছে ২৫ বলের ব্যবধানে, যেখানে গজনফরের একার শিকারই ৫ উইকেট! এর আগে ওপেনার তানজিদ হাসানকে আউট করেছিলেন।
বাংলাদেশের এই আশ্চর্য পতনের আগে পরিস্থিতি তাঁদের অনুকূলেই ছিল। ১২ ওভারের মধ্যে ৬৫ রানে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ ফিরে গেলেও তৃতীয় উইকেটে মিরাজ ও নাজমুল ৫৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্যর সঙ্গেও ৫৩ রানের জুটি গড়েন নাজমুল। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং।
অধিনায়ক নাজমুল বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ৩৩ রান করেন সৌম্য। ২৮ রান এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকে।
গজনফরের একক ‘শো’ এর বাইরে ২৮ রানে ২ উইকেট নেন রশিদ খান। ১টি করে উইকেট নবী ও ওমরজাইয়ের। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান। শারজাতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শনিবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৩৫ (নবী ৮৪, হাশমতউল্লাহ ৫২, খারোতি ২৭*, নাইব ২২, আতাল ২১; তাসকিন ৪/৫৩, মোস্তাফিজ ৪/৫৮, শরীফুল ১/৩২, মিরাজ ০/৩০, রিশাদ ০/৪৬, মাহমুদউল্লাহ ০/১১)।
বাংলাদেশ: ৩৪.৩ ওভারে ১৪৩ (নাজমুল ৪৭, সৌম্য ৩৩, মিরাজ ২৮, হৃদয় ১১, তানজিদ ৩; গজনফর ৬/২৬, রশিদ ২/২৮, নবী ১/২৩, ওমরজাই ১/১৬)।
ফল: আফগানিস্তান ৯২ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: আল্লাহ গজনফর (আফগানিস্তান)।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে আফগানিস্তান।
আপনার মতামত লিখুন :