প্রশিক্ষণের আড়ালে কোটি টাকার দুর্নীতি: বেবিচক কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ৮:৩৫ অপরাহ্ন / ১০৪
প্রশিক্ষণের আড়ালে কোটি টাকার দুর্নীতি: বেবিচক কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সিভিল এভিয়েশন একাডেমির পরিচালক প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আড়ালে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে নিজেকে সম্পদশালী করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত কুমার গত দুই অর্থবছরে একাডেমিতে প্রায় ৩৫০টি প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করেন, যার মধ্যে সিএফআর, সিএনএস ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রশাসনিক, এবং বিমান নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসব কোর্সের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা, যা মেয়াদভেদে ৪ দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত চলতে পারত। কিন্তু কোর্সের মান ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের, যা প্রশিক্ষণার্থীদের কার্যত কোনোরকম দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক ছিল না।

খাবারের বরাদ্দেও বড় অংকের দুর্নীতি

প্রশিক্ষণার্থীদের দুপুরের খাবারের জন্য বরাদ্দ ছিল জনপ্রতি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিন্তু এ অর্থ সঠিকভাবে খরচ করা হয়নি। বরং, একাডেমির ঝাড়ুদারকেই রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা স্পষ্টতই প্রশিক্ষণের মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এ ধরনের অমর্যাদাকর পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশান্ত কুমার বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি অর্থের অপচয়ের ফলাফল

প্রতিবছর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের নামে বরাদ্দকৃত ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার একটি বড় অংশের অপচয় হয়েছে। কোর্সের অন্যান্য খাতেও বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে অনেকাংশে খরচ কমিয়ে রাখা হয়েছে, যার ফলে কোর্সের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের দাবি

দায়িত্বশীল মহলের মতে, প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে, বেসামরিক বিমান চলাচল খাতের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধির পরিবর্তে বরং দুর্নীতি বাড়বে। এ কারণে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রশিক্ষণের আড়ালে অর্থ আত্মসাতের এ ধরনের ঘটনা দেশের বিমান চলাচল খাতে দক্ষতার মান বৃদ্ধির পরিবর্তে বরং বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যা দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

নামাজের সময় সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১০ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩৩ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ