স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের দূর্ণীতির সংস্কার হলেও এখনো সংস্কার হয়নি গাইবান্ধা বিআরটিএ অফিস। এ দপ্তরের একটি কাজও দালাল ছাড়া সম্পন্ন করতে পারেনা সেবা গ্রহীতাদের। নিয়ম অনুযায়ী সকল কাগজপত্র যাচাইয়ের পর ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর লাইসেন্স প্রদানের নিমিত্তে সুপারিশকারী বোর্ডের সভাতে সকল পরীক্ষার্থীকে উপস্থিত থাকতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর গাইবান্ধা বিআরটিএ অফিসে বায়োমেট্রিক, লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বেশ কিছু পরীক্ষার্থী ভাল পরীক্ষা দিয়েও ফলাফল শীটে তাদের নাম না থাকায় বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক, কামাল আহমেদ কাজলের নিকট এর কারন জানতে চান। এতে পরিবেশ উত্ত্যক্ত হলে অন্যান্য ভূক্তভোগীসহ টাকা দিয়ে পাশ করা পরীক্ষার্থীরা কামাল আহমেদ কাজলকে ব্যবহারিক মাঠে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিবেশ শান্ত করে। এ সময় সেনাবাহিনী ভুক্তভোগীদের আশ্বস্ত করেন যে তাদের লিখিত খাতা পুনরায় যাচাই করা হবে। এ বিষয়ে মোটরযান পরিদর্শক, কামাল আহমেদ কাজল জানান, আমরা যথাযথ নিয়মে খাতা মূল্যায়ন করেছি। তবে ফলাফলের বিষয়ে কারো আপত্তি থাকলে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে খাতা পুনরায় যাচাই করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :