জঙ্গি ও মাদকের বিরুদ্ধে যে সাফল্য এসেছে তা ধরে রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ ব্যাজ প্রদান অনুষ্ঠান শেষে একথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো ঠাঁই হবে না। আধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি পেশাগত উৎকর্ষ বাড়াতে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করছে। এসময় তিনি বলেন, থানাকে সার্ভিস ডেলিভারির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে গুণগতমান বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ দমনে যে বৈশ্বিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধ করে আমাদের সেই সাফল্য অর্জন করতে হবে। মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমরা প্রতি মাসে আগের মাসকে ডিঙ্গিয়ে যাচ্ছি, প্রতিবছর মাদক উদ্ধারের টার্গেটকে আগের বছরের থেকে এগিয়ে যাচ্ছি। অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে বাংলাদেশ পুলিশ যে বৈশ্বিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে একইভাবে সকল ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পৌঁছে দিতে হবে। থানাকে সকল সার্ভিস ডেলিভারির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে থানার সার্ভিস ডেলিভারির গুণগতমান আরো বৃদ্ধি করতে হবে। বিভিন্ন সফলতার মাধ্যমে আমরা মানুষের আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করেছি। থানা থেকেও একইভাবে সেবা দিয়ে পুলিশ সম্পর্কে মানুষ যে ধারণা করে, যে আশা-আকাঙ্ক্ষার ভরসার জায়গা সেটা ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আশা করব পুলিশ, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান সেই লক্ষ্যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় মাদক ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না। আমাদের বাহিনীর সদস্যরা প্রযুক্তি নির্ভর জনবান্ধব, সেবাবন্ধব, নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করছে। আমাদের পেশাগত উৎকর্ষতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের নিয়োগ-পদায়ন ও পদোন্নতির স্বচ্ছতা আজ সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং সকল সংস্থা ও সংগঠন আমাদের এসব কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে। সর্বক্ষেত্রে আমাদের এই স্বচ্ছতা অব্যাহত রাখতে হবে।
আইজিপি বলেন, মাদক ও দুর্নীতি দেশের জন্য নীরব ঘাতক। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে। আমি আশা রাখি আমাদের সকল পুলিশ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনেছেন। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে উজ্জীবিত হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :