ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে দুইটি আনন্দ গায়ে মেখেই কর্মস্থলে ফিরছে সাধারণ মানুষ।
ভোলা লক্ষীপুর রুটে প্রয়োজনের তুলনায় নৌযান কম থাকায় আর বাড়তি ভাড়ার কারনে তাদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। পর্যাপ্ত অনুমোদিত নৌযান না থাকায় তারা অনিরাপদ নৌযানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ফিরছেন কর্মস্থলে। আবার এসব অনিরাপদ নৌযানেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
অনুমোদিত লঞ্চে গাদাগাদি করে এবং ছাদেও বহন করা হচ্ছে যাত্রী। ভ্যাপসা গরম ও প্রচন্ড রোদ্রের তাপে অতিষ্ট যাত্রী সাধারণ।
অতিরিক্ত যাত্রী বহনে ভোলা-লক্ষীপুর নৌ রুটে চলাচলকারী অনুমোদিত নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে বাঁধা প্রদান করায় সি ট্রাক সার্বিস এসটি খিজির ৮ এর স্টাপের হাতে ঔধত্তপূর্ণ আচরণের স্বীকার হন বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা। তবুও রুখতে পারেন নি অতিরিক্ত যাত্রী বহন। আজ সোমবার ১৫ এপ্রিল সকাল ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। অতঃপর দেখাগেছে গাদাগাদি করেই দক্ষিণ অঞ্চলের একমাত্র প্রবেশদ্বার ইলিশা ঘাটে চলছে অুমোদিত এবং অ অনুমোদিত নৌযান।
অতিরিক্ত যাত্রী বহন অনিরাপদ নৌ যান চলাচল ও যাত্রী সেবার মান সমুন্নত রাখতে ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে ঈদ পরবর্তী সময়ে নৌ ঘাট গুলোতে যাত্রী সেবার মান নিশ্চিত করতে সহায়তা করার কথা থাকলে দেখা মেলেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। এ বিষয় বিআইডব্লিউ টিএর ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন বলেন আপনারাই দেখেছেন ওরা আমার সাথে কেমন আচরণ করছে । আমি আর কি বলবো।
নৌপুলিশ সদস্য ঘাটে না থাকার বিষয়ে ইলিশা নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়াকে কল করলে রিসিভ না করার কারনে তার বক্তব্য পেশ করা সম্ভব হয়নি।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন সার্বক্ষনিক পুলিশের একটি টিম ঘাটে নিয়োজিত রয়েছেন । পুলিশ সদস্যদের না দেখতে পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন একাধিক পন্টুন রয়েছে তাই পুলিশ অন্য পন্টুনে থাকতে পারে এমন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে ভোলার সড়কে সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মোটরবাইকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়েই ঘাটে পৌছেন যাত্রীরা।
ভোলা জেলা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো মেঘনার নাব্যতা সংকটে ফেরী পারাপারে বিঘ্ন ঘটায় যাত্রীরা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। এদিকে ঘাট এলাকায় যাত্রী বাহী বাসের লম্বা জটলাও দেখা যায়। ভোলা বিআইডব্লিউটিসির ব্যাবস্থাপক পারবেজ খান জানান আমাদের ফেরি চলাচলের সবচেয়ে বড় সমস্যা নাব্যতা সংকট, নাব্যতা সংকট দুরীকরনে আমাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষের অবগত করানো হয়েছে।
অতিরিক্ত যাত্রী বহন রুখতে গিয়ে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা লাঞ্ছিত বিষয়ে টিএর ভোলা ব্যাবস্থাপক জানিয়েছেন এ বিষয়টি আমিাকে কেউ জানাননি। ঘাটে সার্বক্ষনিক পুলিশ সদস্য রয়েছে এধরণের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। আমার ঐ কর্মকর্তা তো চাইলে মামলা দিতে পারতেন তবে তিনি মামলা দেন নি কেন বলে জানান ভোলা বিআইডব্লিউটিএর ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম।
আপনার মতামত লিখুন :